দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। আর এর ৭ বছর পর ১৯৭৮ সালে বিয়ে হয় আবদুল মজিদ ও দিলরুবা খানমের। এরপর ১৯৮০ সালে জন্ম হয় তাদের ছেলে মো. মীজানুর রহমানের।
মজার বিষয় হল, চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার হাজিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো. মীজানুর রহমান মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান পেয়েছেন। চমকপ্রদ এই তথ্য পাওয়া গেছে সংসদীয় কমিটির কার্যবিবরণীতে।
এতে বলা হয়েছে, মো. মীজানুর রহমানের জন্ম মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হওয়ার ৯ বছর পর ১৯৮০ সালে। তারপরও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার। শুধু তাই-ই নয়, তার মা-বাবার বিয়েও হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পর।
বাবার নাম আবদুল মজিদ, মা দিলরুবা খানম। তাদের বিয়ে হয় ১৯৭৮ সালে। এর দুই বছর পর ১৯৮০ সালের ৩ জুলাই জন্ম হয় মো. মীজানুর রহমানের।
কিভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হল- তা জানতে চেয়েছে সংসদীয় কমিটি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার পাশাপাশি এ ঘটনায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা।
যদিও মো. মীজানুর রহমানের দাবি, মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় কীভাবে তার নাম এসেছে সেটা তিনি জানেন না। বিষয়টি তাকে বিব্রত করছে। ফলে তিনি নিজেই মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়ার জন্য স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করেছেন বলে কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল অংশ নেন।
You cannot copy content of this page