লম্বা সময়ের বিরতির পর এই ঈদেই নতুন নির্মাণ নিয়ে ফিরছেন আমিনুল সিকদার। এবারের নাটক ‘বাড়ি ফেরা’। কাজটি নিয়ে নির্মাতা তো বটেই, তার ঘনিষ্ঠজনেরাও ভীষণ উচ্ছ্বসিত।
‘বাড়ি ফেরা’ গল্পে দেখা যাবে- বাবা-মায়ের সঙ্গে জুড়ে থাকা সন্তানদের ইমোশন নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা। বাবা-মা এবং দুই ছেলে নিয়ে মধ্যবিত্ত একটি গ্রামীণ পরিবার। বাবা -মা সবসময়ই সন্তানদের ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত থাকে যে তারা কিভাবে একটা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন জীবন কাটাবে। প্রতিনিয়ত সন্তানদের ভালোর জন্যই যত লড়াই যত রাগ অভিমান। সন্তানদের দূরে থাকাও বাবা-মায়ের মন কাঁদায়। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন শামীমা নাজনীন, ফারুক আহমেদ, জামশেদ শামীম, দীশি, জারীফসহ আরো অনেকে। ঈদের আগের দিন রাত ৯টায় ইউটিউবে প্রচারিত হবে ‘বাড়ি ফেরা‘ নাটকটি।
বাড়ি ফেরা’র শুটিং অভিজ্ঞতা জানিয়ে আমিনুল সিকদার বলেন, হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নাটকের দুই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী ফারুক আহমেদ এবং শামীমা নাজনীন দুজন একসঙ্গে অভিনয় করেছেন আমার এই নাটকটিতে। তারা দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন। তবে বিশেষ করে অভিনেতা জামশেদ শামীম প্রচুর পরিশ্রম করেছেন, নাটকের দুই একটা স্পটের সিন একটু কষ্টকর ছিল, সেগুলো করতে তিনি একবারও দ্বীধাবোধ করেননি। আমি জানি জামশেদ ভাই অনেক পরিশ্রমী।তার মেধা আর শ্রমই তাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আরো একটা বিষয়, এই নাটকে বাকি যারা আরো অভিনয় করেছেন, তারা সবাই নতুন। সবাই ভালো করেছেন। নতুন কিছু মুখ দেখতে পাবে দর্শক।
নির্মাতা আমিনুল সিকদার আরও বলেন, দর্শকরা এখন গল্পভিত্তিক কাজ দেখতে পছন্দ করেন এবং একজন নির্মাতা হিসেবে আমারও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে হবে যে আমি কোন ধরনের গল্পে কাজ করবো। যদি আমিই সন্তুষ্ট না থাকি তাহলে দর্শকদের কিভাবে খুশি করবো। কিছুদিন আগেই কান পাতলে শোনা যেত যে বাংলা নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে চলছে রুচির দূর্ভিক্ষ।দর্শকদের মধ্যে দেখা দিয়েছিল হতাশা। সিনিয়র আর্টিস্টদের আক্ষেপও ছিল না কম। তবে এখন দুর্ভিক্ষ কাটিয়ে উঠছে বাংলা নাটক ইন্ডাস্ট্রি। ইদানিং ভালোমানের কাজ রিলিজ হচ্ছে। দর্শকরাও বেশ আনন্দ পাচ্ছে। অবশ্যই আমি আমার কাজটি নিয়ে অনেক আশাবাদী। কেননা প্রায় ৩ বছর বিরতির পর আমি আবার ফিরেছি আমার নতুন নির্মাণ ‘বাড়ি ফেরা’ নিয়ে।
উল্লেখ্য, এর আগে আমিনুল সিকদার নির্মিত ‘সতর্ক সংকেত’ যা একটি ধারাবাহিক ক্রাইম ফিকশন চ্যানেল ২৪ এ প্রচারিত হয়েছে। এছাড়া তিনি দুটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন; যেগুলো দারুণ সাফল্য পেয়েছে।
You cannot copy content of this page