মাদারীপুরের শিবচরে এক বিয়ে বাড়িতে নিকাহ রেজিস্ট্রারে কাজীর সহকারীকে চড়-থাপ্পড় মারার ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায় নিকাহ রেজিস্ট্রারে কনের স্বাক্ষর নেওয়াকে কেন্দ্র বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান মো. ইসলাম শরীফকে কয়েকটি থাপ্পড় মারেন। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় অভিযোগ করেছেন লাঞ্ছিত ওই অফিস সহকারী। তবে সাবেক পৌর কাউন্সিলর এ ঘটনার জন্য কাজীর অফিস সহকারীর আচরণকে দায়ী করেছেন।
থানায় লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, শিবচর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের শিবরায়েরকান্দি গ্রামের আব্দুস সালাম খানের ছেলে পারভেজ খানের সঙ্গে একই পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক মেয়ের বিবাহের দিন ছিল বুধবার। এদিন অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকালে নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাজ শুরু করেন কাজীর অফিস সহকারী ইসলাম শরীফ। এ সময় কাজীর অফিস সহকারী মো. ইসলাম শরীফ কনের স্বাক্ষর আনার কথা বললে ওই বিএনপি নেতা সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহাদাত হোসেন খান কনের স্বাক্ষর তার বাবা দিলেই হবে বলে জানায়। কিন্তু সহকারী রেজিস্ট্রার কনের স্বাক্ষর ছাড়া নিকাহ রেজিস্ট্রার সম্পন্ন হবে না জানালে শাহাদাত হোসেন খান উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন কাজীর সহকারীকে চড়-থাপ্পড় মারেন।
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বুধবার রাতে কাজীর সহকারী মো. ইসলাম শরীফ বাদী হয়ে বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন খানকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ করেন।
মো. ইসলাম শরীফ বলেন, শাহাদাত কমিশনার কনের বাবার পরিবর্তিতে তার বাবাকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে কাবিন করাতে চায়। আমি না করলে সে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারে।
এ ব্যাপারে শাহাদাত হোসেন খান বলেন, আমি ওনাকে বলি তুমি সবার স্বাক্ষর নিয়ে কাজটা এগিয়ে রাখো। তিনি কনের স্বাক্ষর নিজে নিতে চায়। এটা ধর্মীয়ভাবে জায়েজ না। তার ব্যবহারও খুব খারাপ ছিল। তাই ভুল বোঝাবোঝি হয়। পরে সমাধানও হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, বিষয়টা আমরা তদন্ত করছি। দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page