মাদারীপুরের শিবচরে অবশেষে ভিজিয়ে দিলো স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির পানিতে তৃপ্তিতে ভাসলো উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠসহ জন সাধারন।
আজ (সোমবার) দুপুর ১২টার আগমূহুর্তে প্রচন্ড তাপদাহ থাকা শর্তেও ১২ টার পর থেকেই হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখায়। সোয়া বারটার দিকে হঠাৎ বৃষ্টিতে পরিনত হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। থেমে থেমে শুরু হয় বৃষ্টি, মাঝে মাঝে আকাশে বিজলি চমৎকায়,বিকট শব্দে বজ্রপাতের আওয়াজ পাওয়া যায় বৃষ্টির মাঝে ও।
উপজেলার পাঁচ্চরের রেলসেতুর নিচে বজ্রপাতের বিকট শব্দে একটি খালি ভ্যান রাস্তার উপড়ে হঠাৎ উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে ভয় পায় ওই ভ্যানচালক,তবে আশেপাশে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
প্রায় ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও তাপদাহ থেকে জনসাধারণ রেহাই পায়নি।শিবচরে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।এতে ফসলের মাঠসহ তাপমাত্রার দুর্ভিক্ষে গাছপালা,পশুপাখি,তরুলতা সারা দেশের ন্যায় রোদে পুড়ে। তাপদাহ থেকে মুক্তির আশায় সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করে রহমতের বৃষ্টি জন্য।অবশেষে দেরিতে হলেও সেই কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা পেলো শিবচর বাসী।
হটাৎ বৃষ্টি এলে খুশিতে পথচারীসহ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ও বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ী ফিরতে দেখা যায়।
স্বস্তির বৃষ্টির সম্পর্কে জানতে চাইলে,অনেকটা আগ্রহ প্রকাশ করে বৃষ্টিতে ভেজা ফেরদৌসি আক্তার(স্বর্না) নামে এক পথচারী নারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি পাঁচ্চর হালিমা খুতুন ক্যাডেট মাদ্রাসায় আমার মেয়েকে দেখতে আসি। কিন্তু আজ অনেক দিন পরে পচন্ড রোদ্রের পর হটাৎ বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ীতে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষা করছি। তবুও মনে কোন কষ্ট নেই।আল্লাহ রহম করছে।আরো আগে বৃষ্টি আসলে ভালো হত।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মাজহারুল ইসলাম || ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ মনির হোসেন বিশ্বাস || সহ-সম্পাদক : মোঃ শাহাদাত হোসেন
সকালের বাংলাদেশ এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page