মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় চাঁদাবাজি মামলার আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে মামলার বাদী ইউসুব মাদবরকে মামলা তুলে নিতে আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীকে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২মে) সন্ধ্যায় মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ইউসুব মাদবর। মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় শিবচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন ইউসুব মাদবর। গ্রামে শান্তি ফিরিয়ে মিলেমিশে বসবাস করতে চায় এলাকাবাসি।
থানায় জিডি’র সূত্রে জানা যায়, আরমান মাদবর সাথে গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ইউসুফ মাদবরের কাছে চাঁদা দাবি করে মারপিট করার অভিযোগে ইউসুফ মাদবর বাদী হয়ে শিবচর থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-১৫, জিআর নং-১১২, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৮০/৩৮৫/৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড। উক্ত মামলা দায়ের করার পর ইমরান মাদবরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর আসামী ইমরানসহ ১২ জন জামিনে এসে বাদী ইউসুবকে মামলা উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে। গত (২ মে) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ ঘটিকায় ইউসুফ মাদবরের বসত বাড়ীর পশ্চিম পাশে ইটের রাস্তায় পেয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আগামী তারিখের পূর্বে মামলা তুলে না নিলে ইউসুফ মাদবরকে সুযোগ মতো পাইলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকী প্রদান করে। এরপর বুধবার (৬মে) এলাকায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এদিকে ইমরান মাদবর জানান, গত বুধবার (৬ মে) সকালে ঘটিকায় ইউসুফ মাদবরের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা চালায় এতে ২জন আহত ও একটি দোকান লুট করে। আহত ২ জন শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এ ব্যাপারে ইউসুফ মাদবর বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি আসামীর পক্ষের লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা জন্য মিথ্যা নাটক করে মালামাল ও লুট কেস দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম নামে একজন বলেন, এই ঘটনার সূত্রপাত ২৫ বছর আগে দুটি গ্রুপ একে অপরকে ঘায়েল করতে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ও ঘটনা ঘটেছে।
একই গ্রামের বাসিন্দা কবি আলাউদ্দিন মাদবর বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের পর থেকে গ্রুপ দুটি সক্রিয় হয় এবং দন্ড ফ্যাসাদ লেগেই থাকে। দুটি গ্রুপ কহিনুর মাদবর অন্য গ্রুপ রউফ মাদবর যা মূলত এদের রাজনৈতিক কলহের কারনে বলি হচ্ছে সাধারণ জনতা। প্রশাসন বা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যদি মীমাংসা না করে যেকোনো সময় আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সমঝোতার প্রয়োজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ বহুদিনের তবে বর্তমানে কোন লুট বা মারামারি ঘটনা ঘটেনি। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হয়রানি করার জন্য এগুলো করে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষদের চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা এগুলো সমাধান চাই। গ্রামে সবাই মিলেমিশে বসবাস করতে চাই।
You cannot copy content of this page