পঞ্চগড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষন করেছে এক কিশোরীকে। এ ঘটনায় ধর্ষক সোলেমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। কিন্তু ধর্ষকের সহযোগী হাবিবুর রহমান হাবিব রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার ২ নং হাফিজাবাদ ইউনিয়নের এক তরুণী কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে সোলায়মান নামের এক প্রতারক। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মে ৫ টার সময় প্রতারণার শিকার তরুণীর বাবা থানায় হাজির হইয়া লিখিত অভিযোগ করেন এবং অভিযোগ টি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। পরে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে ও সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম সহ একদল চৌকস অফিসার ও সদস্যদের নিয়ে কৌশলে ধর্ষক ছলেমানকে গ্রেফতার হয়।
এ সময় প্রতারণার শিকার তরুণীর প্রতিবেশী প্রতারক ধর্ষক এর সহযোগী মারু পাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব রয়ে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পলাতক রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয় মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব এর দোকানের সামনে দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করা কালীন সময়ে প্রতারক ধর্ষক ছলেমান হাবিবের দোকানে আড্ডা দিত। হাবিবের সরাসরি ইন্ধনে ধর্ষক ছলেমান প্রতারণার শিকার তরুণীকে প্রেম নিবেদন ও নানা কু প্রস্তাব করিয়া আসিত। প্রতারণার শিকার তরুণী ওই সকল প্রস্তাব প্রত্যাখান করলে।প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান হাবিব (খালু হওয়ায়) খালু হাবিবুর রহমান হাবিবের প্ররোচনায় ও প্রতারক ধর্ষক ছলেমানের আবেগঘন প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভনে সরলতম তরুণী বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি দিলে। ধর্ষক ছলেমান নিজ স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন করে সরলতম তরুণীর সাথে ছলচাতুরী ও কৌশলে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যায়। এবং দিনে-রাতে গোপনে দেখা সাক্ষাৎ ও কথা বার্তা বলতে থাকে। উল্লেখ্য গত শুক্রবার (২০ মে) অনুমান রাত ১১ ঘটিকায় প্রতারণার শিকার তরুণীর ঘরে কৌশলে প্রবেশ করিয়া। বিয়ের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জরিয়ে ধরে জোর করে বিছানায় শোয়াইয়া তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে নানা কৌশলে একাধিক বার ধর্ষণ করিলে। প্রতারণার শিকার তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হইয়া গর্ভে সন্তান আসলে। প্রায়শই বমি করতে থাকে। বিষয়টি প্রতারক ধর্ষক ছলেমান কে জানাইলে। প্রতারক আশ্বস্ত করে বলে দ্রুত বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে যাবে।
গত শনিবার (২১ মে) অনুমান রাত ১১ টায় প্রতারক ধর্ষক ছলেমান চুপিসারে প্রতারণার শিকার তরুণীর ঘরে প্রবেশ করে এবং ঔষধ দিয়ে বলে এগুলো খেলে বমি বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতারণার শিকার তরুণী সরল মনে ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন রোবার (২২ মে) সকালে প্রচন্ড পেটের ব্যাথা অনুভব ও যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়লে আতংকিত হয়ে কাঁদতে থাকলে প্রতারণার শিকার তরুণীর মা বিষয়টি জানতে চাইলে ভুক্তভোগী তরুনী মাকে সব খুলে বলেন। ভুক্তভোগীর মা সন্তানের জীবন বাঁচাতে দ্রুত আধুনিক সদর হাসপাতাল পঞ্চগড় এ নিয়ে যায়। তরুণীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক অসুস্থ মেয়েটির চিকিৎসার জন্যে দ্রুত ভর্তি করেন।
চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রোববার (২২ মে) রাত আনুমানিক ৯ টায় প্রতারণার শিকার তরুণীর অকাল গর্ভপাত ঘটিয়া একটি অপরিপক্ক মৃত শিশু ভূমিষ্ট হয়।
এই প্রতিবেদন লিখার সময় পর্যন্ত প্রতারণার শিকার তরুণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, মামলা করার কারণে প্রতিনিয়ত তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে আসামিপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে আমরা আসামি গ্রেফতার করেছি অপর আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
You cannot copy content of this page