টানা বৃষ্টিপাতে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায়। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৭০ ভাগের বেশি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারদের সমন্বয়ে স্থানীয় সেচ্চাসেবীদের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। পানি বন্দী মানুষকে উদ্ধারে জাফলং পর্যটক ঘাটের দেড় শতাধিক নৌকা এবং প্রতিটি ইউনিয়নের স্থানীয় নৌকা সমূহ ব্যবহার করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রসাশন সূত্রে জানা যায়, ২৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৩৫৬ জন পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে ৬৪৫ টি। এছাড়া বন্যা দুর্গত বিপুল সংখ্যক জনগণ নিকটস্থ আত্মীয়-স্বজনের বাড়ীতে নিরাপদ উঁচু স্থাপনাতেও আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলার ১৬৬০ হেক্টর আবাদি জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিতবএবং ৩৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা দুর্গত পরিবার সংখ্যা: ৪২,৯০০ টি ও বন্যা দুর্গত জনগণ সংখ্যা: ২,৪৫,৯৫০ জন।
এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
বৃহস্পতিবার ৩০ মে দুপুরে উপজেলার সারিঘাট এলাকা থেকে নৌকায় করে পূর্ব আলীরগাঁও, পশ্চিম আলীরগাঁও , গোয়াইনঘাট সদর এলাকা পরিদর্শন করেছেন।পরিদর্শনের সময় পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের লাফনউটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে বন্যা দুর্গত ও পানিবন্ধী পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম করেন।
এসময় সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বন্যাদূর্গত মানুষের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনাদের পাশে সরকার রয়েছে। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্হ।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পানিবন্দী লোকজনদের উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও ইউপি সদস্যগণ কাজ করছেন।
মাজহারুল ইসলাম সম্পাদিত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান-এর তত্ত্বাবধানে, বেপারী অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড-এর প্রকাশনায়, ৭০, কমলাপুর, মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
দৈনিক সকালের বাংলাদেশ-এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page