বরগুনার আমতলীতে কনের বাড়ী থেকে বরের বাড়ীতে বউভাত খেতে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসহ একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু ভেঙে এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত, ২ জন আহত ও নিখোঁজ রয়েছে ৫ জন।
শনিবার দুপুরে উপজেলার হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ওই সংযোগ সেতুটি ভেঙে ১টি মাইক্রোবাস ও ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক খালে পড়ে গিয়ে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, আমতলী পৌর শহরে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের মনির হাওলাদারের মেয়ের বিয়ে দেন। আজ দুপুরে মনির হাওলাদারের নিকট আত্মীয়রা একটি মাইক্রোবাস ও একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইককে চেপে মেয়ের জামাই বাড়ীতে বৌভাত খেতে যাওয়ার পথে ওই দূর্ঘটনা ঘটে।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মনির হাওলাদারের নিকট আত্মীয়রা তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ী আমতলী যাওয়ার পথে সেতু ভেঙে দূর্ঘটনায় পতিত হয়। এখন পর্যন্ত ৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২ আহত ও ৫ জন নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়েছি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ার ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৯টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।মাইক্রোবাসটি এখনও পানির নিচে।
ঘটনাস্থলে আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম ছরোয়ার ফোরকান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডঃ এমএ কাদের, আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
You cannot copy content of this page