মাদারীপুর জেলার শিবচরে ছরোয়ার মাতুব্বর নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর বাড়ি ও ফসলী জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের পশ্চিম চরকামার কান্দি এলাকায় গেলে ছরোয়ার মাতুব্বর বলেন, এ ঘটনায় মারপিট সহ বিভিন্ন প্রকার হয়রানির স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ওই প্রতিবন্ধী।
বর্তমানে ওই বাড়ি ও জমিতে প্রতিপক্ষরা বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়েছে।এদিকে বাড়িতে থাকতে পারছে না ভুক্তভোগী ওই প্রতিবন্ধী ও তার পরিবার।সুবিচারের আশায় বিভিন্ন জায়গায় ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন ওই প্রতিবন্ধী। ফলে হতাশায় ভুগছেন তিনি। তবে এই ঘটনায় সরোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গত রাতে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলে ওই এলাকার রশিদ মাদবর (৬৫) ও তার ছেলে রুবেল মাদবর (৩৮), জাফর মাদবর (৩৬), হোচেন মাদবর (৩২) শওকত মাদবর (৩০), ৫। লেয়াকত মাদবর (২২)সহ কয়েকজন।
প্রতিবন্ধী ছরোয়ার হোসেন অভিযোগে জানান, তিনি কর্মহীন, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র হওয়ায় এলাকায় না থেকে ঢাকা থাকেন। তার বংশের চাচা রশিদ মাদবর ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তাদের বাড়ি ও জমি দখল করে বাশ দিয়ে বড়ে দিয়ে রেখেছেন।বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ছরোয়ার মাতুব্বর বড় ভাইয়ের স্ত্রী আসুরা বেগম জানান,প্রায় ২৫ ধরে তিনি এই বাড়িতে এসেছেন। কোনদিন তিনি শুনতে পাননি এই জমি অন্যের।দুই দিন ধরে তাদের বাড়ি বাশ দিয়ে আটকে রেখেছেন প্রতিপক্ষ। তার পরিবারকে তার বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে ওই সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ তার।
স্থানীয় নবী আকন বলেন,আমার এই ৪৫ বছর বয়েসে কোন দিন শুনিনি এই জমির মালিক অন্য কেউ।ছরোয়ারের বাড়ি ফসলী জমি সব কিছু কাচা বাশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রাখছে।কোনভাবেই তারা কারো কোন কথা শুনেনা।যা ইচ্ছে তাই করে।
তবে এই বিষয় জানতে রশিদ মাদবরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এই জমি আমার,তাই আমি বেড়া দিয়েছি।'
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সুব্রত গোলদার বলেন,এ বিষয় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মাজহারুল ইসলাম || ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ মনির হোসেন বিশ্বাস || সহ-সম্পাদক : মোঃ শাহাদাত হোসেন
সকালের বাংলাদেশ এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page