সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও তৌহিদ জং মুরাদ এবং তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়া থানায় ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে নিহত আস-সাবুরের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই সাহিদ হাসান এ মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত আস-সাবুর (১৬) নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের নায়েদ জাকিরের ছেলে। সে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার শিমুলতলা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তিনি জামগড়া শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডেন্ডাবর এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৫৫), আওয়ামী লীগের সাবেক আরেক সংসদ সদস্য টংগাবাড়ি এলাকার মৃত আনোয়ার জংয়ের ছেলে তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন (৫৪) ও তার বাবা সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গনি, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান (৬১), আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন মাদবর (৫৮), ইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূঁইয়া (৫০), সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার (৭০) ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার (৫২),উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন খানসহ (৫৬) আরও অনেকে।
মামলার বাদী সাহিদ হাসান সকালের বাংলাদেশকে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে আওয়ামী লীগের লোকজন শিক্ষার্থীদের উপর গুলি ও মারধর করে। সে দিন বেলা ১১টার দিকে আস-সাবুর কিছু জিনিস কেনাকাটার জন্য বাইপাইলে আসেন। পরে দুপুর ২টার দিকে খবর পাই আস-সাবুরের মরদেহ বাইপাইলে পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি’ বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ সকালের বাংলাদেশকে বলেন, গতকাল রাতে ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামরা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
মাজহারুল ইসলাম সম্পাদিত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান-এর তত্ত্বাবধানে, বেপারী অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড-এর প্রকাশনায়, ৭০, কমলাপুর, মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
দৈনিক সকালের বাংলাদেশ-এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।