ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে বিএনপির একটি ইউনিয়ন অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধরসহ কুপিয়ে জখমের অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেল৷ আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী ধামসোনা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বাবু (হৃদয় দয়াল)।
মামলার আসামিরা হলেন, জাহিদ হাসান (৩৬), রাজু খান (৩৫), সবুজ খাঁন (৩০), হাসান খান (২৩), সোহাগ হোসেন (২২), সাকিল (২৩), সেলিম রেজা (৩০), শাওন (২৩) সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাতে দক্ষিণ গাজীরচটের আরিয়ারার মোড় এলাকার ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে বসেছিলেন হৃদয় দয়ালসহ তার সঙ্গীয়রা। এসময় স্থানীয় জাহিদ হাসান, রাজু খান, সবুজ খাঁন, হাসান খান, সোহাগ হোসেন, সাকিল, সেলিম রেজা ও শাওনসহ অজ্ঞাত ২০-২৫ অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। বাঁধা দিলে হৃদয় দয়ালসহ তার সঙ্গীদের হকিস্টিক ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে অফিসের আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায় তারা। এসময় গুরুতর জখম আব্দুল্লাহ আল মামুনকে উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী সাবেক ছাত্রদল নেতা আব্দুল হালিম বাবু সকালের বাংলাদেশকে বলেন, হামলাকারীরা আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে প্রায় ১ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এ সময় আমার লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা সবাই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও আহতের ঘটনায় আজ একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
মাজহারুল ইসলাম সম্পাদিত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান-এর তত্ত্বাবধানে, বেপারী অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড-এর প্রকাশনায়, ৭০, কমলাপুর, মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
দৈনিক সকালের বাংলাদেশ-এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।