গত ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যার ঘটনায় হাজী মোঃ মন্জুরুল ইসলাম মন্ডলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
হাজী মোঃ মঞ্জরুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও হত্যার ঘটনায় আমাকে পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হয়েছে। আমি নিজ এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসতেছি দীর্ঘ সময় ধরে। বিএনপির রাজনিতির সাথে আমার সম্পৃক্ততা আছে এবং আমি নির্যাতিত। আমার বড় ভাই মোঃ দেলোয়ার হোসেন মন্ডল সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলা ছাত্রদল ও সাবেক সদস্য ঢাকা জেলা যুবদল যিনি বিএনপির একজন নিবেদিত রাজনৈতিক নেতা ও কর্মী।
তিনি বলেন, বিগত ২৭/১০/২০১৩ইং সালে আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের রোশানলে রাজনৈতিক মামলায় আমাকে আসামি করা হয়েছিল। মামলার আসামিদের তালিকার মধ্যে আমার নাম ছিল ৪৪ নাম্বার এ। তাই সে সময় আমাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে ও আদালতে দ্বারপ্রান্তে ঘুরতে হয়েছে। দীর্ঘ ২২ দিন আমাকে কারাবরণ করতে হয়েছিল। সে সময় সাভার আশুলিয়ার গণ মানুষের নেতা ডাক্তার দেওয়ান মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বাবু ভাই জেল হাজত এ ছিলেন এবং তিনি আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন।
হাজী মোহাম্মদ মঞ্জরুল মন্ডল বলেন,
পূর্বশত্রুতার জেরে ও আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রীমহল অন্যায়ভাবে আমাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়েছে এবং মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তিনি এসব মিথ্যা মামলা, হয়রানি ও ষড়যন্ত্র বন্ধের আহ্বান জানান।
তিনি অভিযোগ করেন, আমি বাদীপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে বাদীপক্ষ আমাকে চিনেন না বলে জানায়। এবং বলে আমাকে কেন বা কারা এই মামলায় আসামি করেছেন তাও সে জানেন না।
তিনি আরও বলেন, ৫ই আগস্ট আব্দুল্লাহপুরের আজমপুর থেকে উত্তরা এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের সাথে রাজপথে ছিলেন পহেলা আগস্ট থেকে ঐদিন এবং বিজয় অর্জিত হওয়া পর্যন্ত রাজপথে ছিলেন। ফেসবুকে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে তার অনেক ছবি ও ভিডিও রয়েছে। যারা এই নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে তিনি নিজেও তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তির দাবি করেন। এবং এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
You cannot copy content of this page