তথাকথিত পীর কাজী জাবের ‘আল জাহাঙ্গীর (৩৩), পিতা-মৃত আফসার উদ্দিন সেন্টু, সাং-চাকুলিয়া, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা’
এর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা কোরআন হাদিসের ভুল অপব্যাখ্যা নারী-পুরুষের অবাধ মিলামিশা সহ নানাব অভিযোগ এবং এলাকা বাসীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে, সাভার উপজেলা প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন চাকুলিয়া গ্রামবাসী এবং সাভার উপজেলার ধর্মপ্রাণ উলামায়ে কেরাম এবং সাধারণ জনতা।
সাভার থানাধীন বনগাঁও ইউনিয়নের চাকুলিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে হাফেজ মাওলানা সাইদুর রহমান (৩৯), পিতা-মজিবর রহমান, সাং-চাকুলিয়া, থানা-সাভার, জেলা-ঢাকা সংবাদকর্মীদের জানান দীর্ঘদিন যাবত সাভার উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের চাকুলিয়া বড় পঞ্চায়েত জামে মসজিদের ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সুবাদে অত্র এলাকার মানুষ আমাকে চিনেন ও জানেন। আমার মসজিদ এলাকায় চাকুলিয়া গ্রামে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুসলিম পরিবার রহিয়াছে।
কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর তার পিতার জীবদ্দশায় ১৫ বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিয়া বিপথগামীতায় জড়াইয়া ধর্মান্তরিত হইয়া খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহন করে এবং তিনি ধর্মান্তরিত হওয়ার পর খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকা সাভার মডেল থানাধীন বিরুলিয়া এবং ধরেন্ডা এলাকায় অবস্থান করে খ্রিষ্টানদের উপাসনালয় গীর্জায় ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ইং ২০০৮ সনে আকস্মিকভাবে বিবাদী ভন্ডপীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর এর পিতা আফসার উদ্দিন সেন্টু মৃত্যুবরন করিলে খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী এবং কয়েকজন খ্রিষ্ট ধর্মগুরু মিলিয়া আফসার উদ্দিন সেন্টু-কে খ্রিষ্টান ধর্মের বিধি অনুযায়ী সমাহিত করিবার মতামত জ্ঞাপন করে এবং চেষ্টা চালায়।
এক পর্যায়ে, মুসলমানদের সংখ্যা গরিষ্ঠতার আপত্তির ভিত্তিতে তাহাকে মুসলিম ধর্মের বিধি অনুযায়ী জানাজা শেষে স্থানীয় পারিবারিক একটি কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত হইলেও ধর্ম ব্যবসায়ী ভন্ডপীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর উপস্থিত জনতাকে জানান যে, তাহাদের আত্মীয়-স্বজন দেশের বাহিরে রহিয়াছে। তাহারা যে কোন মুহুর্তে আসিয়া পড়িলে তাহারা আসিবার পরই নির্ধারিত স্থানে আফসার উদ্দিন সেন্টু’র লাশ দাফন করা হইবে বলিয়া কৌশলে সময় ক্ষেপন করিয়া রাতের আঁধারে কাউকে কোন কিছু না জানাইয়া নিজ বসত ঘরের মেঝেতে আফসার উদ্দিন সেন্টুর লাশ সমাহিত করা হয় এবং উক্ত কবরটিকে কয়েকদিন পর উল্লেখিত বিবাদী সহ বিবাদী ২। কাজী গোলাম (২৭) ৩। কাজী মোরশেদ (৩২) ৪। কারিমা বেগম (৪০) ৫। আসমা বেগম (৩৬) ৬। হোসনা আক্তার (২২), সর্ব পিতা-আফসার উদ্দিন সেন্টু সহ কয়েকজন মিলিয়া কবরটিকে মাজার এর রূপদান করে।
এরপর বিবাদী কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর নিজেকে একজন খেলাফত প্রাপ্ত পীর হিসাবে আখ্যায়িত করে এবং মাজারটি বিবাদীদের তত্ত্বাবধানে পরিচালনাকালে তাহারা ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়া ধর্মভীরু মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়াইয়া মুসুল্লিদের মধ্যে ফাটল ধরানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। এমনকি বিবাদীরা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করিয়া অবজ্ঞার ভাষায় কথাবার্তা বলে। সেখানে নারীদের নিঃসন্তান দূরীকরণের কবিরাজী চিকিৎসা প্রদান কালে উচ্চস্বরে মাইক বাজাইয়া শব্দ সৃষ্টি করিয়া ভিন্ন পর পুরুষদের সহিত নিঃসন্তান নারীদের শারীরিক মেলামেশা করাইয়া তথ্য গোপন রাখিবার জন্য বলে এবং জানায় যে, এই বিষয়ে কাউকে কোন কিছু জানাইলে তোর এবং তোর স্বামীর অকাল মৃত্যু হইবে।
এই ভয়ে এবং লোক লজ্জার কারণে ভুক্তভোগী নারীরা বিষয়টি আড়াল করিয়া রাখিলেও আসল ঘটনা গোপন রাখা সম্ভব হয় নাই। বিবাদীরা আসর জমানোর জন্য বিভিন্ন স্থান হইতে মাদকাসক্ত যুবক যুবতীদের আনিয়া ভন্ডপীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর এর তৈরী করা মাজারে আনিয়া গাঁজা, মদ, ইয়াবা ট্যাবলেট সেবন করায়। আগত নারী পুরুষদের অনেককেই অবাধ মেলামেশার সুযোগ তৈরী করিয়া দেয়। দিন যত যাইতেছে তাহাদের অপকর্মের গোমর তত ফাঁস হইয়া আমাদের এলাকার লোকজনের নিকট এমন তথ্য পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়া স্থানীয় মুসুল্লিদেও সাথে নিয়া গোপনে এবং প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করি।
অনুসন্ধানকালে তাহাদের এমন ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড এবং অসামাজিক কর্মকান্ডের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর তাহাদেরকে ইসলামের সঠিক পথে আনিবার জন্য চেষ্টা চালাই। এর অংশ হিসাবে গত ইং ২৯/০৯/২০২৪ তারিখ বাদ এশার নামাজের পর রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় আমি সহ স্থানীয় ০৭ জন মুসুল্লি সাভার মডেল থানাধীন চাকুলিয়া গ্রামের ভন্ডপীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর এর বাড়িতে গেলে তাহারা আমাদের উপস্থিতি দেখিয়া আমরা কোন কিছু বুঝিয়া উঠিবার পূর্বেই হত্যার উদ্দেশ্যে টগবগিয়ে ফুটানো গরম পানি আমাদের উদ্দেশ্য করিয়া ঢালিয়া দেয় এবং আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমন করিয়া ইট পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিক্ষেপ করিলে আমি সহ স্থানীয় মুসুল্লি মাওলানা তৈয়াবুর রহমান খান (৬৫), মোঃ মোশারফ (২৮), মোঃ সাকিব (১৮) ও পরশ (২৬) গুরুতর আহত হইয়া হাসপাতালে ভর্তি হই। আমরা আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকিবার সুযোগে মনগড়া ভাবে তাহারা ও তাহাদের অনুসারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “পীরের বাড়িতে হামলা হইয়াছে” মর্মে অপপ্রচার ছড়াইয়া দেয় এবং নিজেদের বাড়িতে নিজেরাই ভাংচুর চালাইয়া গণমাধ্যম কর্মীদের ভুল বুঝাইয়া নিজেকে পীর আখ্যায়িত করিয়া সংবাদের শিরোনাম হয়। অতঃপর আমি সামান্য সুস্থ হইয়া বিবাদী ভন্ডপীর কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর সহ অপরাপর ০৬ জন বিবাদী এবং অজ্ঞাতনামা ৬০/৭০ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যার নং-০৬ তারিখ- ০৪/১০/২০২৪ ইং
বিভিন্ন মসজিদের ঈমাম মাদ্রাসার আলেমগণ এবং এলাকাবাসী কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীর এর ধর্ম নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ এবং এলাকাবাসী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সঠিক ইসলামের পথে ফিরে আসার আহবান জানান। সেই সাথে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে কাজী জাবের আল জাহাঙ্গীরের বিচার দাবী করেন।
You cannot copy content of this page