মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় বিগত দিনে ভারীবর্ষন আর অতিবৃষ্টির কারনে জমিতে আগাম শাক সবজি,মরিচ, বেগুনসহ অন্যান্য ফসলাদি যা আবাদ করা হয়েছিলো সবগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকগন অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।
এ আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পুনরায় নতুন করে জমিতে বীজ ফেলে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অতিবৃষ্টির কারনে আগাম শাক সবজি, মরিচ, বেগুন সহ অনেক ফসল নষ্ট হয়ে গেছে
এবং কৃষকের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষক ইউনুস মল্লিক এর সাথে কথা বলে যানা যায়,তিনিও প্রায় ২ বিঘার মত খাজনা জমিতে মরিচ,লাল শাক,বেগুনসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করেছিলেন অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ার কারনে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, তিনি বলেন যদি সব ঠিকঠাক থাকতো তাহলে আমি ভালো বেশ কিছু টাকা বিক্রয় করতে পারতাম,
ইউনুস মল্লিক বলেন, ২ বিঘা জমি চাষ করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে,আমরা গরিব অসহায় মানুষ এখন আবার ধার-দেনা করে জমিতে চাষ শুরু করছি, আল্লাহ যদি মুখের দিকে তাকায়।
তিনি গরিব অসহায় কৃষকদের সহযোগিতার জন্যে সরকারের কাছে দাবী জানান।
কৃষক কালাম খান বলেন, আমি ১ বিঘা ( ৬২ শতাংশ) জমিতে ৩ বার আগাম ফসল শাক সবজি চাষ করছি,কিন্তু ৩ বারই মাইর খাইছি,আবার ও নতুন করে শুরু করছি দেখি যা লস গেছে তা উঠে আসে কিনা,
আর এক কৃষক ইলিয়াস মোল্লা প্রায় ৪৫ শতক জমিতে মরিচ রোপন করেছিলেন, তিনি বলেন অতিরিক্ত বৃষ্টির কারনে সব শেষ, আবারও মরিচ গাছ লাগাবো চারা কোথায় পাবো, কেমনে কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।
এমন শত শত কৃষকের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, পুনরায় তারা ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে।।
উপজলো কৃষি অফিসার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অতি বৃষ্টির কারনে শিবচর উপজেলার অনেক কৃষক এর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে
এবং তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন, আমরা কৃষি বিভাগ থেকে তাদের যথাযত পরামর্শ,ও সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
আশা করা যায় তারা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুরে দাড়াবে।
You cannot copy content of this page