চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭৫ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরও ১১ শিক্ষার্থীকে মুচলেকা নিয়ে সতর্ক করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন।
তসলিম উদ্দীন জানান, দুই মাস আগে শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং সোমবার তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তদন্তে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সহপাঠীদের মারধর, একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা, আবাসিক হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রভৃতি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক। সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। উল্লেখ্য, গত বুধবার সরকার আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে, এবং সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। মূলত বিশৃঙ্খলা কারীরা ছাত্রলীগের সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানা যায়।
মাজহারুল ইসলাম সম্পাদিত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান-এর তত্ত্বাবধানে, বেপারী অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড-এর প্রকাশনায়, ৭০, কমলাপুর, মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
দৈনিক সকালের বাংলাদেশ-এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।