ভোলা জেলার প্রত্যেক উপজেলার বাজার গুলো ঘুরে দেখা যায় সয়াবিন তেলের দাম সরকারি মূল্য নির্ধারণ করা হলে মিলছে না কাঙ্খিত মূল্যে খুচরা ১৯০-২০০ টাকা দেকা যায়
দাম বাড়তেই বাজার সয়লাব সয়াবিন তেলে
অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা পকেট ভারি করছে। অভিযোগ ক্রেতার
প্রতি লিটারে বাড়েছে ৮ টাকা
প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা নির্ধারণ
বেশ কিছু দিন ধরে দোকানিদের একই কথা, বোতলজাত সয়াবিন তেল নেই। আর দু-এক জায়গায় পাওয়া গেলেও ছিল বেশি দাম। তবে আজ (১০ ডিসেম্বর) বাজারে ভিন্ন চিত্র। সব দোকানেই মিলছে তেল।
‘বেসরকারি এই চাকরিজীবী তাজুল ইসলাম বলেন,
সংকটের অজুহাতে প্রায়ই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। বাধ্য হয়ে কিনতে হয় বেশি দামে। কিন্তু যারা দাম বাড়ান, তাদেরও বোঝা উচিত খরচ বাড়লেও আমাদের উপার্জন তো আর বাড়ে না। আসলে তারা মানুষকে মানুষই মনে করে না। বোঝে শুধু অন্যকে জিম্মি করে নিজেদের পকেট ভারি করতে।’
তিনি বলেন, গতকাল সকালে এসেও ফিরে গিয়েছি, ১ লিটারের সয়াবিন তেল নাই। অথচ আজ দেখছি সব দোকানেই তেল। এইটা কোনো কথা কন? যার যা ইচ্ছা করবে, কেউ কিচ্ছু বলবে না?
‘অভিযোগ করে সিএনজিচালক আরও বলেন,
যদি সংকটই থাকে তাহলে এখন কোথা থেকে তেল এলো? নাকি দাম বাড়ানোর জন্যই ব্যবসায়ীরা এমনটা করলো? সরকারের উচিত এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করা।’
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সয়লাব বোতলজাত সয়াবিন তেলে। তবে নতুন দরের তেল না আসায় এখনও আগের দামেই তেল কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
এ বিষয়ে একাধিক বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই আমাদের। তারা বলেন, দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর ডিলাররা বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়িয়েছে। তবে নতুন দামের তেল এখনও বাজারে ছাড়া হয়নি। ফলে আগের দামে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৭ ও ৫ লিটারের বোতল তারা ৮১৮ টাকায় বিক্রি করছেন। বিক্রেতারা আরও বলেন, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন তেল বাজারে এলে ১৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হবে।
এর আগে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সারা দেশে বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়ানোর কথা জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
You cannot copy content of this page