সর্বশেষ
সর্বশেষ
সামাজিক সেবায় নিবেদিত সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু এবার মাদারীপুর-১ আসনে এমপি পদপ্রার্থী কালকিনিতে অবসরপ্রাপ্ত এলজিডি অফিস সহকারীর অস্বাভাবিক মৃত সাভার দক্ষিণ রাজাশন ঘাস মহলে বিএনপির অফিস উদ্বোধন শরীয়তপুর-১ আসনে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির ঘোষণা আমতলীতে ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আমতলীতে কাঁচা সড়ক পাকা করার দাবীতে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার, আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিলেন কলেজ শিক্ষার্থী আশুলিয়ায় ভূমিদস্যু এম এ মতিন কে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন তালতলীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, শহিদুল হকের প্রতিবাদ

আমতলীতে মাজারে হামলা,ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ,আহত ৩৫ পীরের অনুসারীদের মধ্যে আতঙ্ক

মাইনুল ইসলাম রাজুম তলী(বরগুনা) প্রতিনিধি / ৬৩ বার শেয়ার হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
IMG 20250317 182206

print news

রবিবার গভীর রাতে আমতলী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বটতলার নামক স্থানের নিকটবর্তী হযরত খাজা ইসমাঈল শাহ মাজারে বার্ষিক ওরশ চলাকালে ইমাম কল্যান ফাউন্ডেশনের ব্যানারে একদল তোহিদী জনতা হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে । এতে মাজারের সামিয়ানা ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে এবং হামলা ও পাল্টা হামলায় উভয় গ্রুপের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় সোমবার সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সকল পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। মাজারে হামলা এবং অগিনকান্ডের ফলে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মাজার কতৃপক্ষ দাবী করেন। হামলার পর ইসমাইল শাহ পন্থী অনুসারী ও মুরদানদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মাজারে হামলার খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকার লোক ভির করছেন পরিস্থিতি দেখার জন্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মাওলানা ওমর ফারুক জিহাদি ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে দেড় থেকে দুই শতাধিক তৌহিদী জনতা মাজারে উপস্থিত হয়ে ওরশ ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন। এতে উভয়পক্ষের বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ইভয় পক্ষের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা শুরু হয়। এ সময় ঘটনাস্থরে উপস্থিত তৌহিদী জনতা লাঠি শোটা নিয়ে মাজারে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করে এবং মাজারে অগ্নি সংযোগ করে অভিযোগ মাজার পন্থীদের। হামলা পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতরা হল মাজারের খাদেম এ্যাডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ইসমাইল শাহের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম, খবির (৩০), বেল্লাল (৩২) জাকির হোসেন (৩১) সালমা বেগম (৪০), মিজানুর রহমমমান (৪৫) আবুল কালাম (৪২),সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (৪২), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মোঃ মামুন (৪৩), আবুল হোসেন (৩৩)। আহত অন্যরা বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
মাজারে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমতলীর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দেও সহায়তায় প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়ে ওই রাতেই আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল অভিযোগ করে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্ব্বে এ হামলা ও অগ্নি সংযোগ হয়েছে। এতে মাজারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । অনুসারীদেও থাকার টিনসেডের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় তা পুরে ছাই হয়ে গেছে। মাজারের ভিতরেও কবরের উপর হামলা করে এবং আগুন দিয়ে গিলাব পুরিয়ে ফেলা হয়েছে। স্টীলের সীমানা ভেঙ্গে ফেলেছে। তারা আমাকেসহ আমাদের ভক্ত ও অনুসারীদের উপর বেধরক হামলা করে ২০ জনকে আহত করেছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজন আমতলী হাসপাতালে ভর্তি আছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘঠনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে তিনি আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
ইসলামী আন্দোলন আমতলী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক গাজী বায়েজিদ বলেন, আমাদেও বিরুদ্ধে হামলা অঘ্নি সংযোগের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। পবিত্র মাহে রমজান মাসে ইসমাঈল শাহের অনুসারীরা ইসলাম বিরোধী কাজ থেকে নিষেধের জন্য মাজারে যাই। মাজারে যাওয়ার পর তারা আমাদেও তৌহিদী জনতার উপর চলা (লাকরি) লাঠি নিয়ে হামলা করে। আমরা এঘটনার বিচার চাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, এ মাজারটি ভন্ডের আস্থানা । ওরশের নামে এখানে গানবাজনা ও গাজা মাদক সেবন ও নারীর আসর বসায়। তারা মাজার সেজদা করে শিরক করছেন। এজন্য রবিবার আমতলী উপজেলার ইমাম কল্যান ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ আমাকে ঘটনার প্রতিবাদের জন্য তাৎক্ষনিক আমির বানিয়ে একটি প্রতিবাদ কমিটি গঠন করে। এর পর রাত সোয়া ১২ টার সময় শত শত ইমাম মুসল্লী এবং তৌহিদী জনতা নিয়ে ইসলাম বিরোধী কাজের প্রতিবাদ করার জন্য আমরা মাজারে যাই। আমরা মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দরা আমাদের লোকজনের উপর চলা (লাকরি) নিয়ে হামলা করে। হামলায় আমাদের ১৫ জন আহত হয়েছে । হামলা এবং ঘগ্নিকান্ডে মাজারের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে বলেও তিনি দাবী করেন। এই ভন্ড মাজারের খাদেম বাবুল উকিল ও তার দোসরদের আমরা শান্তির দাবী জানাই।
ইসমাইল শাহের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তৌহিদী জনতা ব্যানের রবিবার গভীর রাতে আমার বাবার মৃত্যু বার্ষিকী পালনের দিন হামলা করে ভাংচুর করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগ করে দুটি টিনের ঘর পুরিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেকান্দার বয়াতী জানান, পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের হযরাত খাঁজা ইসমাঈল শাহ ১৯৯০ সালে আমতলী আসেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ২৬ ফাল্গুন মারা জান। আমতলী উপজেলায় তার প্রায় কয়েক হাজার ভক্ত অনুসারী রয়েছে। তারা তাকে আমতলী রেখে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বটতলা নামক স্থানে দাফন করে সেখানে একটি মাজার নির্মান করেন। প্রতিবছর বাংলা ২-৩ চৈত্র ২দিন ব্যাপী ওরশ পালন করেন তারা। এসময় এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। হামলা ও অগ্নিকান্তের ঘটনায় আমতলীতে মাজার পন্থি মানুষের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে ।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা কামাল হোসেন তালুকদার বলেন, ওরশ চলাকালে রাত সাড়ে ১২ টার সময় হঠাৎ ডাক চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি টিনের ঘর আগুনে জ্বলছে। লোকজন ভয়ে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছে। পরে পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর পড়ুন...
নিজ এলাকার খবর দেখুন...

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page