সর্বশেষ
সর্বশেষ
সামাজিক সেবায় নিবেদিত সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু এবার মাদারীপুর-১ আসনে এমপি পদপ্রার্থী কালকিনিতে অবসরপ্রাপ্ত এলজিডি অফিস সহকারীর অস্বাভাবিক মৃত সাভার দক্ষিণ রাজাশন ঘাস মহলে বিএনপির অফিস উদ্বোধন শরীয়তপুর-১ আসনে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির ঘোষণা আমতলীতে ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আমতলীতে কাঁচা সড়ক পাকা করার দাবীতে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার, আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিলেন কলেজ শিক্ষার্থী আশুলিয়ায় ভূমিদস্যু এম এ মতিন কে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন তালতলীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, শহিদুল হকের প্রতিবাদ

গরমের রসালো ফল তরমুজে আমতলীর বাজার সয়লাব

মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী বরগুনা প্রতিনিধি / ৬৬ বার শেয়ার হয়েছে
প্রকাশের সময় বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
IMG 20250324 154040

print news

শীত বিদায় নিয়ে গরমের যাত্রা শুরু। একদিকে গরম অন্যদিকে মাহে রমজান। সারা দিন রোজা শেষে ইফতারিতে কি রসালো ফল তরমুজ না রাখলে চলে? গরম এবং রোজাকে সামনে রেখে অধিক মূল্য পাওয়ার আশায় আমতলীতে এবছর আগাম তরমুছ চাষ করেছেন কৃষকরা। ফলনও হয়েছে ভালো। প্রতিদিন কৃষকরা তাদের উৎপাদিত তরমুজ ট্রাক, ট্রলি টমটমসহ নানা বাহনে করে ক্ষেত থেকে নিয়ে আসছেন আমতলীর বাজারে। রবিবারও সোমবারে দু’দিন ধরে তরমুজে সয়লাব হয়ে গেছে আমতলীর বাজার। ইতোমধ্যে ফলের দোকান, সড়কের পাশ ধরে এবং কাঁচা বাজারে সাজিয়ে কিংবা ভ্যান গাড়িতে করে বিক্রি করছেন রসালো এই ফল তরমুজ।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবছর আমতলী উপজেলায় ৪ হাজার ৪শ’ ৪১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ২লক্ষ ১৪ হাজার ৬০ টন। মৌসুম শুরু এবং এখন পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবছর আশা কৃষি ভিাগের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান ইস্টিটিউটের প্রফেসর মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ,বি, সি পটাশিয়াম ও আঁশ। মৌসুমি এই ফলটিতে রয়েছে নানা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। তরমুজ হলো ভিটামিন ‘বি৬’ এর চমৎকার উৎস, যা মস্তিস্ক সচল রাখতেও গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে। তরমুজে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি খেলে দেহের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত অসুস্থতা কমে। এবং এতে পানি রয়েছে প্রচুর পরিমান তাই ইফতার শেষে তরমুজ খেলে দ্রুত পানি শূন্যতা পূরন হয় বলে মতও দেন তিনি। তাই ইফতারিতে রোজাদাররা অন্যান্য ইফতার সামগ্রীর সাথে পরিমিত তরমুজ ক্ষেতে পারেন অনায়াসে। এছাড়া নিয়মিত তরমুজ খেলে মাসুষ দীর্ঘজীবি হয়।

আমতলী পৌরসভার বাসিন্দা রোজাদার তরিকুল ইসলাম টারজন বলেন, ইফতারে রসালো ফল তরমুজ না রাখলে কি চলে? তাই তিনি প্রতিদিন এই ফল রাখছেন তার ইফতাওে সামগ্রীর সাথে।
সোমবার সকালে আমতলীর নতুন বাজার চৌরস্তা ঘুরে দেখা গেছে সড়কের দু’পাশ, ফলের দোকান, কাঁচা বাজারে প্রতিটি দোকানে ভরে গেছে তরমুজে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো বলে জানান ফল ব্যবসায়ী আরাফাত।
আমতলীর বাজারে তরমুজ নিয়ে আসা ধানখালীর কৃষক শাহীন জানান, এবছর ৪বিঘা জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করেছি খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হয়েছে এপর্যন্ত ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। ক্ষেতে যে পরিমান তরমুজ আছে তাতে আরো ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
লোন্দা গ্রামের রিফাত গাজী বলেন ৪০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ৬ লক্ষ টাকা বিক্রি হয়েছে। আশা করি এবছর খরচ বাদে ১০ লক্ষ টাকা লাভ করতে পারবো।
আমতলীর সোনাখালী গ্রামের হোচেন আলী খা চাওড়া ইউনিয়নে পাতাকাটা গ্রামে ৫৬ বিঘা জমি ১বছরের জন্য লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তার খরচ হয়েছে ৮লক্ষ টাকার মত। তার ক্ষেত জুরে তরমুজে ভওে গেছে আর ২-৩ দিনের মধ্যে তরমুজ বিক্রি শুরু করবেন। তিনি জানান যে ভাবে ফলন ভালো হয়েছে তাতে ২০ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রি করা যাবে। তিনি আরো জানান, ঢাকা থেকে পাইকাররা এসে দাম বলছেন বনিবনা হলে ক্ষেতসহ একত্রে বিক্রি করে দেব।
আমতলী চৌরাস্তা নতুন বাজার এলাকার আড়ৎদার মো. আব্দুস ছালাম জানান, ছোট এবং মাঝারি সাইজের তরমুজ ১৮০ থেকে ২শ’ টাকা এবং বড় সাইজের তরমুজ আড়াইশ’ থেকে ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিনি আরো জানান, গত ২-৩ দিন ধওে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী এবং কুয়াকাটা থেকে প্রচুর পরিমান তরমুজ আসছে বাজারে। দামও নাগালের মধ্যে বলে তিনি মনে করেন।
আমতলীর খোন্তাকাটা এলাকার খুচরা তরমুজ ক্রেতা আলী হোসেন জানান, এবছর দাম নাগলের মধ্যে আছে। এজন্য ২-১ দিন পর পর তরমুজ কিনে বাসায় নেই।
শহরের রিকসা চালক চান্দু গাজী বলেন, দাম কোম অওয়ায় পোলা মাইয়াগো লইগ্যা মাঝে মধ্যে দুই একটা তরমুজ কিনি।
আমতলী উপজেলা কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. বেল্লাল হোসেন জানান, তরমুজে লাভ বেশী হওয়ায় কৃষকরা অগ্রহায়ন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে তরমুজ চাষ শুরু করেন। ঠিকমত পরিচর্জা করলে ৩ মাসের মধ্যে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রাসেল বলেন, ধানের পর আমতলীতে দ্বিতীয় ফসল হিসেবে তরমুজ চাষ করছেন চাষীরা। এবছর মৌসুমের শুরু থেকে কোন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লক্ষমাত্রার চেয়েও অধিক উৎপাদন হবে। রমজানে তরমুজের চাহিদা থাকায় কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো। আশা করি তরমুজি চাষীরা এবছর লাভবান হবে।

তারিখ: ২৪/৩/২৫ইংরেজী


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর পড়ুন...
নিজ এলাকার খবর দেখুন...

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page