সর্বশেষ
সর্বশেষ
সামাজিক সেবায় নিবেদিত সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু এবার মাদারীপুর-১ আসনে এমপি পদপ্রার্থী কালকিনিতে অবসরপ্রাপ্ত এলজিডি অফিস সহকারীর অস্বাভাবিক মৃত সাভার দক্ষিণ রাজাশন ঘাস মহলে বিএনপির অফিস উদ্বোধন শরীয়তপুর-১ আসনে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির ঘোষণা আমতলীতে ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আমতলীতে কাঁচা সড়ক পাকা করার দাবীতে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার, আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিলেন কলেজ শিক্ষার্থী আশুলিয়ায় ভূমিদস্যু এম এ মতিন কে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন তালতলীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, শহিদুল হকের প্রতিবাদ

মাদারীপুরের শিবচরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার কিন্তু দাম নাগালের বাইরে।

মোঃগোলাম সারোয়ার নাদিম স্টাফ রিপোর্টার / ৪৭ বার শেয়ার হয়েছে
প্রকাশের সময় বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
IMG 20250325 153709

print news

দোকানিদের হাঁকডাক আর ক্রেতাদের পদচারণায় জমে উঠেছে মাদারীপুরের শিবচরে উপজেলার ঈদ বাজার। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন কাপড় কিনতে সবাই ভিড় করছেন পোশাকের দোকানগুলোতে। তবে, গতবছরের তুলনায় এবার পোশাকের দাম একটু বেশি হওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের বাজেটে টান পড়ছে। বাজেটের মধ্যে মিলছে না পছন্দের পোশাক। ইচ্ছামতো দামে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

উপজেলার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, পৌর সুপার মার্কেট, খলিফাপট্টি, মোল্লা মার্কেট ও সোনার বাংলা প্লাজাসহ বিভিন্ন মার্কেটে ভিড় রয়েছে। মার্কেটের সামনে শুরু করে মূল দোকানের ভেতরে কোথাও যেন পা ফেলার জায়গা নেই। সবখানেই মানুষ আর মানুষ।। ক্রেতার চাহিদার কথা বিবেচনা করে জামা-কাপড়, জুতা, ব্যাগ এবং সাজসজ্জার নানা উপকরণে দোকানগুলো ভরে উঠেছে।

বিকেলে সন্তানদের জন্য ঈদের পোশাক কিনতে একটি ব্র্যান্ডের দোকানে আসেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাদিয়া আক্তার। ২০ মিনিট যাচাই-বাছাই করেও বাজেটের মধ্যে মেয়ের জন্য একটি পোশাক কিনতে পারেননি তিনি। সাদিয়ার ভাষ্যমতে, গতবার যে টাকায় নিজের জন্য, স্বামী ও তাদের ৬ বছরের মেয়ের জন্য কেনাকাটা করেছেন, এবার সেই টাকার পারবেন না। দ্বিগুণের বেশি টাকা খরচ হবে।

দোকানিরা বলছেন, এবার নারী, পুরুষ ও শিশুর জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের নতুন পোশাকগুলো বিক্রি হচ্ছে ব্যাপক হারে। এছাড়া মসলিন, সিল্ক, জামদানি, কাতান, কাশ্মীরি কাজ করা শাড়ি ও লেহেঙ্গা, পুরুষদের পায়জামা-পাঞ্জাবি, টিশার্ট এবং শিশুদের জন্য নানা রঙের আরামদায়ক পোশাকের চাহিদা বেশি। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ক্রেতারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা রুহুল আমিন বলেন, এ বছর বাজারে পর্যাপ্ত পোশাক থাকলেও দাম গতবারের তুলনায় অনেকটা বেশি মনে হচ্ছে। বাচ্চাদের পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি। আমার চার বছরের মেয়ের জন্য পছন্দ হওয়া একটা ড্রেসের দামই যাচ্ছে পাঁচ হাজার টাকা।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পোশাকের দাম বাড়তি মনে হওয়ায় কেউ কেউ অর্ধেক কেনাকাটা করেছেন, কেউ এখনো দামদর জানার মধ্যেই আছেন। পরিবারে যারা উপার্জনক্ষম আছেন তারা এখনই কেনাকাটা করেননি। গরম শুরু হওয়ায় সুতি কাপড়ের মধ্যে হালকা কাজের জামাকাপড় কিনছেন ক্রেতারা।

সুরাইয়া ইয়াসমিন নামে এক ক্রেতা বলেন, কয়েক জায়গায় দেখার পর একটা থ্রি-পিস ৪ হাজার টাকায় কিনলাম। দাম বেশি মনে হচ্ছে। ঈদ উপলক্ষে প্রতিবছরই খলিফাপট্টিতে বাজার করতে আসি। কিন্তু এবার দেখছি দাম বেশি। বাজেটে কুলাচ্ছে না। কাটছাঁট করতে হচ্ছে।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সাধারণ একটা থ্রি-পিসের দাম চেয়েছে ৫ হাজার টাকার ওপরে। দরাদরি করার পর শেষ পর্যন্ত ৩ হাজার ৫০০ টাকায় দিয়েছে। এভাবে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেশি মনে হচ্ছে। এগুলো প্রশাসনের তদারকি করা প্রয়োজন।

এদিকে ঈদকে ঘিরে ক্রেতারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারেন এজন্য নিরাপত্তাসহ সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে নিয়ন্ত্রণে নেই বাজার বলছেন ক্রেতারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর পড়ুন...
নিজ এলাকার খবর দেখুন...

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page