সাভারে বিএনপি নেতা এবং মেয়র প্রার্থীকে হত্যা করতে এসে দেশীয় অস্ত্রসহ জনতার হাতে আটক হয়েছে দুই পেশাদার খুনী। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জানাগেছে, সাভারের ছায়াবীথি এলাকার নিজ বাসভবনে ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং সাভার পৌরসভার মেয়র প্রার্থী লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম সারাদিন নিজ বাসভবনে নেতা-কর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন। এ সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ কয়েকজন যুবককে সন্দেহজনক ভাবে ওই ভিড়ের মধ্যে ঘুরাফেরা করতে দেখে উপস্থিত জনগণ তাদের দুজনকে আটক করে। বাকি ৫/৬ জন সন্ত্রাসী এ সময় পালিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো সাভারের ভাড়াটে খুনী হিসেবে পরিচিত বনপুকুর এলাকার পারভেজ ও বাশার। তারা এর আগে আরো তিনটি খুন করেছে বলেও স্বীকার করে।

এ সময় পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় জনতা। পরে পুলিশের কাছে তারা স্বীকারোক্তি দেয় যে ভাড়ায় তারা বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমকে খুন করতে এসেছিলো। তাদের জবানবন্দি গ্রহণের পর তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় সাভার থানা পুলিশ। এ সময় দুইটি ধারালো ছুরি ও দুইটি সুইচগিয়ার উদ্ধার করা হয়। তাদের আটক করতে গিয়ে জুয়েল ও নাফি নামে দুই যুবকসহ কয়েকজন আহত হন।

অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিতভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় জনগণ।

লায়ন মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাবেক ছাত্রদল নেতা ওবায়দুর রহমান অভি আমাকে হত্যা করার জন্য এই ভাড়াটে খুনী পাঠিয়েছে বলে আটককৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আমার একটাই অপরাধ আমি সাভারের মাদক ও ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলি। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসন ও সাভারবাসীর কাছে বিচার চাই এবং আমার ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।

এছাড়া মাদক কারবারি ও আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারের গুপ্তচর অভিকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আটক না করা হলে নেতাকর্মী নিয়ে মাঠে নামার আল্টিমেটাম দেন খোরশেদ আলম