ফোনে কথার বলার সময় ‘স্যার’ না ডেকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের উপর ক্ষেপেছেন রেজাউল করিম ওরফে রেজা নামের সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা। এ নিয়ে ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এক মানহানীকর ফেইসবুক পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনিতে।
জানা যায়,একুশে টেলিভিশন ও দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার কালকিনি উপজেলা প্রতিনিধি রকিবুজ্জামানকে ঈদের পরদিন সাবেক ঐ সেনা কর্মকর্তা রেজা ফোন করে একটি বিষয় জানতে চান।তখন সাংবাদিক রকিবুজ্জামান তাকে ভাই সম্বোধন করায় রেজা ঐ সাংবাদিকের উপর ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে ঐ সাংবাদিককে দেখে নেয়ারও হুমকি প্রদান করেন তিনি।পরবর্তীতে গতকাল দুপুরে রেজাউল করিম তার ভেরিফাইড ফেইসবুক আইডি হতে ঐ সাংবাদিকের ছবিসহ বিভিন্ন অসত্য ও মানহানীকর কথা লিখে পোস্ট করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক রকিবুজ্জামান জানান,”আমি সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য।দীর্ঘ একযুগ চাকরী করে ২০১৮ সালে সেচ্ছায় অবসরে এসেছি। সাবেক সেনা কর্মকর্তা রেজাউল করীমের সাথে আমার চাকরীকালীন সময়ে কখনো দেখা হয়নি।আমি তার বাড়িতে একটা নিউজের কাজে গিয়ে তার সাথে পরিচয় হয়।এরপর নানা সময়ে সাংবাদিকতার কাজে তার সাথে কথা হয়েছে। কিন্তু তিনি হঠাৎ ঈদের পরের দিন আমাকে কল দিয়ে একটা তথ্য জানতে চাইলে আমি আমি তাকে ভাই সম্বোধন করায় তিনি আমার উপর ক্ষেপে যান এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন।এসময় গালাগালি করে তিনি বলেন ‘ভাই বলা তোর গোয়ার ভিতরে ঢুকাইয়া দিব,তুই আমার ক্ষমতা সম্পর্কে জানিস?।’ এর আগে তিনি আমাকে একজন বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে অসত্য নিউজ করতে চাপ প্রয়োগ করেন।মূলত তার সে প্রস্তাব না রাখায় তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত। আমি তার এরুপ আচরনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পাশাপাশি এমন কর্মকান্ডের জন্য আমি তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।”
এ ব্যাপারে ওই সাবেক সেনা কর্মকর্তা জানান,”ঐ সাংবাদিক সেনা সদস্য ছিল বিধায় তিনি তার থেকে ভাই বলাটা আশা করেন নি।সাবেক সেনা সদস্য পরিচয়ে কথা বললে তিনি কথা বলতে রাজি আছেন নয়তো একুশে টিভির প্রতিনিধি রকিবুজ্জামানের মতো সাংবাদিককে তার গোনার সময় নেই।”
এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেসুর রহমান গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে জানান,”বিগত সরকার জেন্ডার পরিবর্তন করে দিয়েছিল।পুরুষ-মহিলা সকল কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক স্যার ডাকতে হতো। ৫ আগস্টের পর থেকে এটা শেষ। এখন থেকে পুরুষ অফিসার মিস্টার, মহিলা অফিসার মিস। এগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে করা হয়েছে। এছাড়া যেকোনো কর্মকর্তাকে ভাই বা বোন বলে সম্বোধন করা যাবে। এতে একে অপরের আরও আপন হয়ে ওঠা যায়।”
You cannot copy content of this page