মাদারীপুরের শিবচরে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে
দুই সন্তানের জননী এক সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে ওয়াইফাই সংযোগের লাইনম্যানের উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পুত্রবধূ ও নাতিদের উদ্ধারে সৌদি প্রবাসী ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ওই লাইনম্যানের বিরুদ্ধে শিবচর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তবে সাধারণ ডায়েরি করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ঊভুক্তভোগী পরিবার ও জিডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে উপজেলার কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের দোতারা গ্রামের মোতাহার মোল্লার ছেলে সৌদি প্রবাসী সজিব মিয়ার সাথে একই ইউনিয়নের জমির হাওলাদারের কান্দি গ্রামের
আহমেদ হাওলাদারের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসের সাথে
দুজনের পছন্দের ভিত্তিতে বিয়ে হয়। এবং এই দম্পতির ঘরে সাজ্জাদ নামের ৭ বছরের এক ছেলে ও ইসাহাক নামের ৫ বছরের এক ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে দীর্ঘদিন বাড়িতে বসবাস করলেও সংসারের সুখের আশায় প্রায় নয় মাস আগে সৌদি আরবে যান সজীব মিয়া। এই সুযোগে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে একই ইউনিয়নের হাজীকান্দি গ্রামের মান্নান মোল্লার ছেলে ওয়াইফাই সংযোগের লাইনম্যান আরিফ মোল্লা সখ্যতা গড়ে তোলে।
একপর্যায়ে তারা দুজন পরকীয়ার প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
আর সেই প্রেমের জের ধরে গেল ২ এপ্রিল দুই সন্তানসহ পরকীয়া প্রেমিক আরিফ মোল্লা প্রবাসীর ওই স্ত্রীকে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি ছেড়ে উধাও হয়।
সৌদি প্রবাসী ভুক্তভোগী সজীব মিয়ার বাবা মোতাহার মোল্লা বলেন, আমার ছেলের পাঠানো টাকা পয়সা সহ আমার ছেলের স্ত্রী আমার ছোট ছোট দুইটা নাতিনকে নিয়ে ওয়াইফাই লাইনম্যানের সাথে চলে গেছে। আমি আমার ছেলের পাঠানো ঢাকাসহ দুই নাতিকে ফেরত চাই।
ভুক্তভোগী প্রবাসী সজীব মিয়া বলেন, আমি কখনোই আমার স্ত্রীকে অমর্যাদা করিনি, আমি তাদের সুখের জন্য প্রবাসে এসেছি, নিজে না খেয়ে তাদের জন্য টাকা পাঠিয়েছি। আজকে সেই স্ত্রী অন্যের সাথে চলে গেছে।
আমার শুধু একটাই চাওয়া আমার ছোট ছোট অবুঝ ছেলে দুটো যেন আমার বাবা মায়ের কাছে রেখে যায় আর আমার পাঠানো টাকা গুলো যেন ফেরত দেয়।
অভিযুক্ত আরিফ মোল্লা ফাহিম আক্তার বলেন, আমি জানিনা আমার ছেলে অন্যের বউ নিয়ে গেছে কিনা, তবে আমার ছেলে বাড়িতে নেই তার মোবাইল বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি মোঃ রতন শেখ (পিপিএম)
বলেন, এমন ঘটনা শিবচরে একটা নয়, আরো বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি পরকীয়ার প্রেমের কারণেই এসব ঘটনা ঘটেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মাজহারুল ইসলাম || ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ মনির হোসেন বিশ্বাস || সহ-সম্পাদক : মোঃ শাহাদাত হোসেন
সকালের বাংলাদেশ এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page