বরগুনার আমতলীতে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তা গোপন রেখে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি আমলে নিয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহারভূক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডঃ রনজুয়ারা সিপু।
আসামি হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার তালুকদারপাড়া গ্রামের সালাউদ্দিন শরীফের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩২)। তিনি বর্তমানে পিরোজপুর জেলা আনসার ভিডিপি অফিসে কর্মরত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদীর বাড়ি আমতলী উপজেলায়। ২০১২ সালে আসামির সঙ্গে বাদীর বিয়ে হয়। তাদের ৯ বছরের একটি পুত্র সস্তানও রয়েছে। বাদী আমতলী পৌর শহরে সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। আসামির স্বামী পিরোজপুর থাকায় পরকীয়ায় জড়িয়ে যায়। পরকীয়ার কারণে বাদীকে না রাখার জন্য তার নিকট যৌতুক দাবি করে সংসারে অহেতুক ঝামেলার সৃষ্টি করে জ্বালা যন্ত্রণা দিতে থাকেন। এরপর বাদী বাধ্যহয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। আসামি মামলার তথ্য জানতে পেয়ে চলতি মাসের ৬ এপ্রিল বাদীকে (স্ত্রী) তালাক দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। আসামি ১১ এপ্রিল বাদীর বাড়িতে এসে আপোষ মিমাংসায় মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলে রাতে স্ত্রীর সাথে শারিরীকভাবে মেলামেশাও করেন।
বাদী বলেন, আসামি (সাবেক স্বামী) আমার বাসা থেকে যাবার তিন দিন পরে ১৫ এপ্রিল তালাকের কপি আমার ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ রেখেছে। আমি তালাকের নোটিশে দেখি আসামি আমাকে গত ৬ এপ্রিল তালাক দিয়েছে। তালাকের বিষয়টি গোপন রেখে সে আমার সঙ্গে ১১ এপ্রিল রাতে শারিরীক সম্পর্ক করে। আমি স্বামীকে বিশ্বাস করতাম। মনে করেছি পরকীয়া প্রেম থেকে তিনি ফিরে এসেছেন। আসামি জেনে শুনে বুঝে আমাকে তালাক দিয়ে তালাকের তথ্য গোপন রেখে আমাকে ধর্ষণ করেছেন। আমার বিশ্বাসের অমর্যাদা করেছেন।
ওই বিষয়ে জানতে আসামি আনসার সদস্য সাবেক স্বামী মাহবুবুর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। আদেশ হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
You cannot copy content of this page