বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা। শুক্রবার দুপুর ২টার সময় তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন পায়রা নদীর তীর থেকে একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার কাজে জেলেদের ও সহায়তা করেন তালতলী উপজেলা ধরার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান।
জেলেরা জানান, উদ্ধার হওয়া ডলফিনটির শরীরে গভীর আঁচর, রক্তাত্ব লেজ ও কেটে যাওয়ার দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা করা হচ্ছে মাছ ধরা ট্রলারের প্রপেলারের আঘাতে ডলফিনটির মৃত হয়েছে। জেলেরা আরো জানান, মৃত ডলফিনটি ৬ফুট লম্বা এবং ৭০-৮০ কেজি ওজন হবে। এর আগে আমতলীর পায়রা নদীর শ্মানঘাট থেকে ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছিল। এর আগেও তালতলীর পায়রা নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় ডলফিন উদ্ধার করা হয়।
তালতলী উপজেলা ধরার সমন্বয়ক আরিফুর রহমান বলেন, ডলফিন মৃত পাওয়া মানে আমাদের সামুদ্রিক জলজ প্রাণীদের ও বেঁচে থাকার জন্য এক ধরনের বড় হুমকি। সাগরে অতিরিক্ত ট্রলারের আগমন এবং দূষন আমাদেও জীববৈচিত্রকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এটি বন্ধের দাবী জানান তিনি। তিনি আরো জানান, মৃত ডলফিনটি তালতলী উপজেলা বনবিভাগের কর্মীদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
তালতলী রেঞ্জকর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, ডলফিন মৃত অবস্থায় উদ্ধারের খবর পেয়েছি। বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এবং মৃতডলফিনটিকে পায়রা নদীর তীরে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের প্রফেসর মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, মৃত ডলফিনের ছবি দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন। শিল্প বর্জ্য, প্লাস্টিক, তেল ও বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান নদী ও সাগরে মিশে পানিকে দূষিত করায় নদী সাগর এখন প্রাণহীন হয়ে পড়ছে। ডলফিন একটি সংবেদশীল জলজ প্রাণী। তারা দূষিত পানিতে টিকতে পারছেনা। এগুলোকে বাঁচানোর জন্য পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। তা নাহলে এরকম প্রাণীদেরকে আরো হারাতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মাজহারুল ইসলাম || ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ মনির হোসেন বিশ্বাস || সহ-সম্পাদক : মোঃ শাহাদাত হোসেন
সকালের বাংলাদেশ এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page