
অতীতে বাংলাদেশে যেকোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোক অথবা বন্যার্তদের জরুরি ত্রাণ ব্যবস্থায় শুষ্ক খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও পোশাক সরবরাহ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিষ্ঠান Hello Group বরাবরই তাদের সাহয্যের হাত বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশিদের জন্য । আসন্ন ঈদুল আজহায় তার ব্যতিক্রম হয়নি। তারা দেশের ৮টি বিভাগে কয়েক হাজার পরিবারের ভিতরে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেবার এক বৃহৎ উদ্যোগ নিয়েছিলেন, এবং সুন্দর ভাবে তা বাস্তবায়ন ও করেছেন।
কেবল দেশের অভ্যন্তরই নয় তারা বিভিন্ন দেশে এই ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
আসন্ন ঈদুল আজহায় বাংলাদেশের ৮টি বিভাগে নিম্নআয়ের এবং মধ্যবিত্ত পরিবারদের মাঝে কোরবানির মাংস পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই তারা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন।
এই মহৎ কাজটি বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে খুবই প্রানবন্ত ভাবে করে যাচ্ছেন দক্ষিন আফ্রিকার একটি মুসলিম লোকাল কোম্পানি হ্যালো গ্রুপ ( Hello Group) (Hello paisa, Hellopay, HelloMobile)
গত কয়েক বছর বাংলাদেশে বন্যার্তদের জন্য জরুরি ত্রাণ ব্যবস্থায় শুষ্ক খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ ও পোশাক সরবরাহ করার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসার সেবা দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সর্ববৃহৎ মানি ট্রান্সফার কোম্পানি হ্যালো গ্রুপ।
এমন উদ্যোগ কেবল অনুপ্রেরণা জোগায় না, এটি মানুষে মানুষে সহমর্মিতা ও ভালোবাসার সেতুবন্ধন তৈরি করে। হ্যালো কোম্পানির পাশাপাশি আমরা আশা করব অন্যান্য রেমিট্যান্স কোম্পানিও এই মহতি উদ্যোগে এগিয়ে আসবেন। এ মহৎ কাজের জন্য হ্যালো গ্রুপকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই এবং ভবিষ্যতেও এমন মানবিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
সাধারণ জনগণ বলেন আমরা বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই-
মোহাম্মদ হারুন ভূঁইয়া, সিনিয়র ম্যানেজার ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর – হ্যালো গ্রুপ। যার প্রানবন্ত প্রচেষ্টায় প্রতিবছরই বাংলাদেশীদের জন্য হ্যালো গ্রুপ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা কর্মসূচী নিয়ে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে ।
হারুন ভূঁইয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং হ্যালো গ্রুপের সহায়তায় দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির অনুষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে বাংলাদেশি সংগঠনগুলোর ঈদ পুনর্মিলনী, নববর্ষ, কমিউনিটির বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস ইভেন্ট নানা আয়োজনে হ্যালো গ্রুপ সহায়তা করে আসছে র্দীর্ঘদিন যাবত।
দক্ষিণ আফ্রিকার Hello Paisa এবং Hellopay কোম্পানিতে ইতিমধ্যেই কয়েকশত বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছেন,আমাদের আশা এবং প্রত্যাশা ভবিষ্যতে কোম্পানিটি বাংলাদেশীদের পাশে থাকার পাশাপাশি তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও উন্নতি সাধন করতে বরাবরের মতন এগিয়ে আসবে।
কোম্পানিটির সিনিয়র ম্যানেজার ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর – মোহাম্মদ হারুন ভূঁইয়া বলেন বাংলাদেশের বড় অংশ মুসলিম ধর্মের অনুসারী,আমরা বিশ্বাস করি এই কোরবানির মাধ্যমে আমরা তাদের মুখে সামান্য হলেও হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছি। এবং তাদের সাথে ঈদ এর আনন্দ ভাগাভাগি করার নিয়ত নিয়েই আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম।
Hellogroup কোম্পানিটি কেবলমাত্র কোরবানির মাংস বিতরণের ভিতরে তাদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখেনি। তাদের রয়েছে আরো নানাবিধ সামাজিক উদ্যোগ। যার ভিতরে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সংগঠনটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
তারপাশাপাশি তৈরী করেছে বাংলাদেশিদের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় কর্মসংস্থান। এবং তিনি আরও আশস্ত করেছেন হ্যালো গ্রুপ বড় কিছু মানবিক প্রজেক্ট নিয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কাজ করার পরিকল্পনা করছে, যা আপনারা অতিশিগ্রই দেখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
এই সম্পুর্ন আয়োজন এর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলেন,
নাইমুর রহমান নবাব ( সাউথ আফ্রিকার প্রবাসীদের গল্প ) ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী সাংবাদিক,মিডিয়া পার্সন।
মোশাররফ হোসেন ( South Bangla সাউথ বাংলা) লন্ডন প্রবাসী, প্রবাসী লেখক, মিডিয়া পার্সন।