আমতলীতে শনিবার দুপুরে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই নবজাতক মারা গেছে। জন্মের ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই শনিবার (২১ জুন) রাত ৯টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে নবজাতকটি।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ওয়াহিদ শামিম নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে মৃত্যু দারাল ৪ জনে। এর আগে শনিবার মা মোসাদ্দিকা, নানা মো. আজিজ খান ও দাদী খালেদা বেগম।
হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, শিশুটির অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তার মাথা, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া, দুর্ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পানির মধ্যে থাকায় তার শরীরের তাপমাত্র কম ছিল।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের বলইবুনিয়াা গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা মো. জাহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং মৃত মোছাদ্দিকার (৩০) ঘরে স্বাভাকিভাবে জন্ম নেয় এই কন্যা শিশুটি। পরদিন শনিবার দুপুরে শিশুটির চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী আসার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় পরিবারটি।
দুর্ঘটনায় শিশুটির মা মোসাদ্দিকা বেগম (৩০), নানা মাওলানা মো. আজিজুল হক (৭০) এবং শিশুর দাদি মোসা. খালেদা বেগম (৫৫) মারা যান। একই ঘটনায় মাওলানা মো. কুদ্দুস (৬০) ও অটো ড্রাইভার আব্দুল ওহাব মিয়া (৫৫) গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ওয়াহিদ শামিম বলেন, শিশুটিকে যখন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়, তখনই তার অবস্থা আশংকাজনক ছিল। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর আঘাত ছিল। দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা পানিতে থাকার কারণে তার শরীরে হাইপোথার্মিয়ার লক্ষণও ছিল। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মাজহারুল ইসলাম || ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ মনির হোসেন বিশ্বাস || সহ-সম্পাদক : মোঃ শাহাদাত হোসেন
সকালের বাংলাদেশ এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page