জাজিরার মাঝিকান্দি (আহাম্মেদ মাঝির কান্দি) তীরবর্তী এলাকায় পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতের প্রভাবে গত সপ্তাহে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়।
৭–৯ জুলাই ভাঙনের তীব্রতায় তলিয়ে—একবারে প্রায় ২০০ মিটার বাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়; এতে অন্তত ৫০০ ঘরবাড়ি সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকান ও রাস্তা এখন ঝুঁকিতে।
ইতিমধ্যেই মাঝিরঘাট এলাকায় বেশ কিছু স্থাপনা- ঘর-বাড়ী দোকানপাট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
গত সোমবার থেকে পদ্মা সেতুর পূর্ব দিকের নদী-ভাঙন শুরু হয়েছে, বিশেষ করে মাঝিরঘাট এলাকায়। সেতুর প্রকল্প এলাকার ২ কিলোমিটার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধটি বেশ কয়েকবার ভাঙনের শিকার হয়েছে।
ভাঙনে বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বেশ কিছু স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এবং ভাঙন আতঙ্কে অনেকেই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন।
এছাড়াও ২০১০–১১ সালে প্রায় ১১০ কোটি টাকায় নির্মিত দুই কিলোমিটার ‘কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড’ বাঁধ।
৭ জুলাই থেকে ভাঙন শুরু হয় ৯ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে সরে যায় ।
স্থায়ী বাঁধ না থাকায় আক্রান্ত এলাকায় চলমান ক্ষয় অব্যাহত রয়েছে।
অবৈধ ড্রেজিং ও বালু উত্তোলনের কারণে নদীর স্রোত আরও প্রবল হয়ে উঠেছে;
সেতু বিভাগের উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির স্বীকার করেছেন, “অবৈধ বালু উত্তোলনই এমন ভাঙনের অন্যতম কারণ।
ইতিমধ্যেই গতকাল থেকে মাঝির ঘাট এলাকায় পাউবো ও BWDB দ্রুত জরুরি প্রতিকার হিসেবে জিও-ব্যাগ ও সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধ রক্ষা কাজ চালু করেছে
এই মুহূর্তে স্থানীয়দের চাওয়া ও সুবিধা বঞ্চিতরা দাবি তুলছেন
•স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
•অবৈধ ড্রেজার-খনন তৎপরতা রোধ করতে হবে।
•ক্ষতিগ্রস্তদের নির্ভরযোগ্য পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছেন, টিন এবং খাদ্য সহায়তা, ও তালিকা-ভিত্তিক সহায়তা ইতিমধ্যেই দেয়া শুরু হয়েছ।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মাজহারুল ইসলাম || ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ মনির হোসেন বিশ্বাস || সহ-সম্পাদক : মোঃ শাহাদাত হোসেন
সকালের বাংলাদেশ এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page