গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহি নকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে সাভারের সাংবাদিক সমাজও রাজপথে নেমেছে। দেশব্যাপী চলমান প্রতিবাদের অংশ হিসেবে আজ, শনিবার, ৯ই আগস্ট বিকেলে সাভার উপজেলা প্রবেশ গেইটের সামনে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সাভারে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। তারা হাতে হাত ধরে মানববন্ধন তৈরি করে এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সাংবাদিকদের হাতের প্ল্যাকার্ডে "আমার ভাই মরলো কেন, সরকার জবাব চাই", "সাংবাদিক হত্যার বিচার চাই", "খুনিদের ফাঁসি চাই" ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, তুহিনের হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করার একটি ঘৃণ্য প্রচেষ্টা। দুর্বৃত্তরা সত্য প্রকাশে বাধা দিতেই সাংবাদিকদের ওপর বারবার হামলা চালাচ্ছে। তারা অবিলম্বে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার সাথে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ কোনো সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে। অবিলম্বে একটি শক্তিশালী "সাংবাদিক সুরক্ষা আইন" প্রণয়নের দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন তারা।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তুহিন হত্যার সকল আসামি গ্রেপ্তার না হয় এবং বিচার প্রক্রিয়া শুরু না হয়, তবে সাভারের সাংবাদিকরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
মাজহারুল ইসলাম সম্পাদিত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান-এর তত্ত্বাবধানে, বেপারী অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড-এর প্রকাশনায়, ৭০, কমলাপুর, মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
দৈনিক সকালের বাংলাদেশ-এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page