বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর দখলমুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা। দিনটি স্মরণে ও শহীদ-মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব শারমিন আক্তার জাহান। তিনি বলেন, “এই দিনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের অহংকারের দিন। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ ও বীরত্ব চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জনাব শাহ মোঃ আব্দুর রউফ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নোমান মিয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সিফাত মোহাম্মদ ইশতিয়াক ভূঁইয়া এবং উপ-পরিচালক, জেলা সমাজসেবা কার্যালয় জনাব আব্দুল কাইয়ুম। বক্তারা তাদের বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ, তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেম জাগানো এবং স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী সৈয়দ এমরানুর রেজা। সার্বিক সহযোগিতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (কমান্ডার) এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলার জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা, শহীদ পরিবারের সদস্যরা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান–সন্ততিরা এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সভার শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাতবরণকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের শুরু থেকে টানা লড়াইয়ের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর থেকে পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। চূড়ান্ত বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে জেলার মানুষের জন্য দিনটি হয়ে ওঠে স্বাধীনতার প্রতীক।
মাজহারুল ইসলাম সম্পাদিত এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান-এর তত্ত্বাবধানে, বেপারী অ্যান্ড ব্রাদার্স লিমিটেড-এর প্রকাশনায়, ৭০, কমলাপুর, মতিঝিল, ঢাকা থেকে প্রকাশিত।
দৈনিক সকালের বাংলাদেশ-এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।