
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডে ইয়ারপুর বটতলা নামক স্থানে সাকিরুল (৪০) কে মোঃ রহমান ও মোসাম্মৎ সাহানাজ পারভিন কর্তৃক মারধোর ও প্রাণনাশের অভিযোগ উঠে। এ সময় সাকিরুন কে ইটের অংশ দিয়ে ও কাঠের লাঠি দিয়ে ও কিল ঘুষি মেরে মারাত্মক জখম করে শাহনাজ পারভিন ও মোহাম্মদ রহমান।
এ সময় সাকিরনের সাথে থাকা একটি কানের দুল ও গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন যার বাজার মূল্য এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও নগদ সাথে থাকা ৫০০০০ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয় এ সময় সাকিরুন এর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মোঃ রহমান ও শাহনাজ পারভিন। মুমূর্ষ অবস্থায় সাকিরন কে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়।
পরবর্তীতে মুমূর্ষ্য শাকিরন ধামরাই সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও তিন দিন চিকিৎসা গ্রহণ করে। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত করা হয় ও রক্তাক্ত করা। উক্ত ঘটনায় নির্যাতিত সাকিরুন ঘটনার দিন রাতেই আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযোগের ভিত্তিতে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আফজালুল হক সহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করে এবং উপস্থিত সাক্ষী গণের কথা শুনে।নির্যাতিত সাকিরুন ও হামলাকারী মোহাম্মদ রহমান মোছাম্মদ ও শাহনাজ পারভীন তাদের গ্রামের বাড়ি কানাইখাড়া বড়ইগ্রাম থানার নাটোর জেলায় অবস্থিত। উক্ত হামলাকারী দয় নিজ গ্রামেও অনেক কুকুরের সাথে লিপ্ত রয়েছেন।
সকালের বাংলাদেশ পত্রিকার রিপোর্টারের সাথে মোবাইল ফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার ভুক্তভোগী ব্যক্তিগণ। তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন সময় মোহাম্মদ রহমানের স্ত্রীকে দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ফাঁদে ফেলে টাকা পয়সা হাতে নেওয়ার তথ্য পাওয়া তথ্য পাওয়া যায়।
এই ভন্ড প্রতারক ও হামলাকারী মোঃ রহমান ও মোসাম্ম শাহনাজ পারভীনের বিরুদ্ধে কেউ সাক্ষী দিলে তাদের কেউ বিভিন্নভাবে হেনস্তা করা হয় এবং কি ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। মোঃ রহমান তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী কে এবং সন্তানগণকে কোন ভরণপোষণ না দিয়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এবং মোহাম্মদ রহমান তার আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রী বর্তমান রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মৎ সাহানাজ পারভীনকে বিয়ে করে এই কুকর্মের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী পারবিনের ও এটি প্রথম বিয়ে নয়।
সে একাধিক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মোঃ রহমানের বর্তমান স্ত্রী তার আপন বড় ভাই আব্দুস সালামের স্ত্রী ছিল। বেশ কিছুদিন আগে মোঃ রহমান অপকর্মের হাতিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী মোছাম্মদ শাহনাজ পারভীন কে দিয়ে তার আপন বোন জামাই বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনে। এবং মামলা করে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে তার বোনজামাই এর কাছ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে।
উক্ত ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আব্দুর রহমানের মা শাহনাজ এর শাশুড়ি নিজেই স্বীকার করেছে। গ্রামবাসীর সাক্ষ্য অনুযায়ী তারা একটি প্রতারক ও ভন্ড এজন্য তাদের গ্রাম থেকেও বিতাড়িত করা হয়েছে। বর্তমানে তারা ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নে বসবাস করে একইভাবে মানুষের সাথে প্রতারণা করে চলেছে।তারা বর্তমানে আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন সময় মোঃ রহমানের স্ত্রী শাহনাজ পারভীন কে দিয়ে অনেক মানুষকে হয়রানি করছে। এর যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ সরজমিনে গিয়ে দৈনিক সকালের বাংলাদেশ পত্রিকার রিপোর্টার এবং থানা পুলিশ নিশ্চিত করেন।