সর্বশেষ
সর্বশেষ
আমতলীতে স্বপ্ন ছোঁয়া স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলজ বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ মনপুরার মেঘনায় যৌথ অভিযানে পাঙ্গাশ মাছের পোনা শিকার করার চাই আটক মাদারীপুরের শিবচরে ছেলের হাতে বাবা খুন মাদারীপুর -১ (শিবচর)  আসনে বিএনপির মনোনীত জামান কামাল মোল্লা ভোলা-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত নুরুল ইসলাম নয়ন সাভারের রাজাশনে বিএনপি সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাদারীপুর আমতলীতে শিক্ষক অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১ সাভার রাজাশন বিএনপির উদ্যোগে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট বিতরণ মনপুরায় ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

মিয়ানমারের সেনা-সীমান্তরক্ষীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে: সেহেলী সাবরীন

সকালের বাংলাদেশ অনলাইন ডেক্স / ১৩৬ বার শেয়ার হয়েছে
প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১০ অপরাহ্ন
777 1

4 / 100 SEO Score
print news

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠানো হবে। মিয়ানমারে চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনা-সীমান্তরক্ষীদের ফেরাতে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ঢাকায় মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং মিয়ানমারে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার সরকার তাদের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে এরই মধ্যে আগ্রহ ব্যক্ত করছে। এখন যত শিগগির সম্ভব তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

মিয়ানমারে চলামান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ যে কঠিন ভূ-রাজনীতির সমীকরণে পড়েছে তা থেকে উত্তরণে কী ধরনের কূটনৈতিক তৎতপরতা চালানো হচ্ছে? বাংলাদেশ কোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে যাচ্ছে কি না?

এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের চলমান সংঘাত তার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর ফলে বাংলাদেশের জনসাধারণ, সম্পদ বা সার্বভৌমত্ব কোনোভাবে যেন হুমকির সম্মুখীন না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সুবিধাজনক সময়ে স্বেচ্ছায়, টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সর্তক রয়েছে এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে নিউইয়র্কস্থ স্থায়ী মিশন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। বাংলাদেশ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে মিয়ানমারের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। মিয়ানমার সংকট উত্তরণের জন্য আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক যেকোনো উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়টি অনিবার্যভাবে থাকা প্রয়োজন।

বলা হচ্ছে ‘কাউকেই’ বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না, তাহলে বিজিপি ও অন্যান্যদের কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে? তারা আশ্রিতদের নৌরুটে ফেরত নিতে চাইলেও আমরা কেন বিমানে পাঠাতে চাই? এতে কি সময়ক্ষেপণ হবে না?

উত্তরে মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমার সরকারের নিয়মিত বাহিনী বিজিপির সদস্যদের আশ্রয় দান এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি এক করে দেখা ঠিক হবে না। আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের নিরাপদ দ্রুত প্রত্যাবাসনই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। বিমান বা নৌরুটের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ না বা কোনো পূর্বশত নয়। বিমানযোগে প্রত্যাবাসন দ্রুততম সময়ে করা সম্ভব বিবেচনায় বাংলাদেশ এ প্রস্তাব দিয়েছিল। মিয়ানমার কিছুদিন আগে ভারত থেকে বিমানযোগে সৈন্য নিয়ে এসেছিল। তাই এ প্রস্তাব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়। বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ে এসব ব্যক্তিদের প্রত্যাবাসন চায়। এখানে সময়ক্ষেপণের সুযোগ নেই। আশা করা যাচ্ছে অতিদ্রুত তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। সেটা আকাশপথেই হোক বা সমুদ্রপথেই হোক তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন বিষয়টি একান্ত জরুরি।

বাংলাদেশে পুনরায় মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে! এটি কি আন্তর্জাতিক কোনো রাজনৈতিক কারণে নাকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিকতা? যেটি পূর্বে রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে সেহেলী সাবরীন জানান, মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বা রাজনৈতিক কোনো কারণ থাকার প্রশ্ন অবান্তর। মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যরা সম্প্রতি ভারতেও আশ্রয় নিয়েছে এবং ভারত থেকে তারা নিজ দেশে ফিরে গেছে। একটি নিয়মিত বাহিনীর বিপদগ্রস্ত সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে তারা সাময়িকভাবে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রথমদিন থেকেই মিয়ানমার সরকার তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তারা বিজিবির কাছে অস্ত্র জমা দিয়েছে।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়- মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কি চাওয়া হয়েছে দেশটির কাছে? ওই পরিবারগুলো কার কাছে বিচার চাইবে?

উত্তরে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকটে বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। মানবিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ বিষয়টির প্রতি সংবেদনশীল। এ বিষয়ে এরই মধ্যে মিয়ানমার সরকারের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে।

4 / 100 SEO Score


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর পড়ুন...
নিজ এলাকার খবর দেখুন...