ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় আবারও দি-ল্যাব এইড হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় পিত্তথলির পাথর অপসারণের পর মিজানুর রহমান (৩৬) নামের এক রোগীর মৃত্য হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার জামগড়া ছয়তলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুতে দি-ল্যাব এইড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে মৃত্যু ব্যক্তির স্বজনদের সাথে সমঝোতা করে। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি মৃত্যুর আগেই ওই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। মৃত মিজানুর রহমান সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় হোটেল ব্যবসা করতেন। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাসিন্দা।
পিত্তথলির অপারেশন করার জন্য মিজানুর রহমানকে দি-ল্যাব এইড হাসপাতালে গত রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ভর্তি করা হয়। রবিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য ডা. সাকিফ রহমান অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই মিজানুর রহমানের বমি শুরু হয়।
এরপর সকাল হতে না হতেই পেটের ব্যথা বৃদ্ধি পেলে নার্স পর পর তিনটা ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর থেকেই মিজানুর রহমানের চেহারা সবুজ হয়ে যায়। পরে আরেক ব্যক্তি এসে আরও দুইটা ইনজেকশন দেন। এর পরপরই মিজানুর রহমানের নাক-মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়ে মারা যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে লাশ বের করে দিয়ে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। মিজানুর রহমানকে অন্য হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এব্যাপারে মিজানুর রহমানের ছোট ভাই রিপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসকের অজ্ঞতা ও অবহেলার কারণে অস্ত্রোপচারের পরে আমার ভাই প্রথমে বমি করে পরে ইনজেকশন দিলে আনার ভাই মারা যায়।
এব্যাপারে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিফ রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেন নি।
দি-ল্যাব এইড হাসপাতালের পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, আমাদের হাসপাতালে রবিবার মিজানুর রহমানের অপারেশন হয়েছে। তবে সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেছি। রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে অবস্থার অবনতি হয়েছিল।
এবিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা বলেন, রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি আমি জেনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল এই হাসপাতালে জরায়ুর অপারেশন করতে গিয়ে রহিমা আক্তার (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়। অপারেশনে ভুলবশত মূত্রথলি কেটে অন্যত্র লাগিয়ে লাগানো হলে ৩৫ দিন পরে তিনি মারা যান।
সম্পাদক ও প্রকাশক : মাজহারুল ইসলাম || ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা এস. এম. সরোয়ার জাহান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোঃ মনির হোসেন বিশ্বাস || সহ-সম্পাদক : মোঃ শাহাদাত হোসেন
সকালের বাংলাদেশ এর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। সকল স্বত্ব দৈনিক সকালের বাংলাদেশ কর্তৃক সংরক্ষিত।You cannot copy content of this page