বরগুনার আমতলী উপজেলার ছোটনীলগঞ্জ গ্রামে জমি দখল করে আইল নির্মানে বাঁধা দেওয়ায় বৃদ্ধ চাচাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে চাচাত ভাতিজা মো. ছলেমান হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত মালেক হাওলাদারকে (৬৫) স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার ছোটনীলগঞ্জ গ্রামের মজিদ হাওলাদারের সস্ত্রাসী ছেলে ছলেমান ও সেকান্দার হাওলাদার তার চাচা মো. মালেক হাওলাদারের মুগডাল চাষ করা জমি দখল করে আইল নির্মান করছিল।
খবর পেয়ে বৃদ্ধ মালেক হাওলাদার জমিতে উপস্থিত হয়ে বাঁধা দিলে বাগবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ছলেমান ক্ষিপ্ত হয়ে তার চাচা বৃদ্ধ মালেক হাওলাদারকে মেহগনি গাছের ভারী ডাল দিয়ে পিটানো শুরু করে। লাঠির আঘাতে বৃদ্ধ ছলেমান মাটিতে লুটিয়ে পরে ডাক চিৎকার শুরু করলে তার স্ত্রী জয়গুন বেগম স্বামীকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ে ছলেমান । এক পর্যায়ে মালেক হাওলাদার জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছলেমান তাকে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ছলেমান চলে যাওয়ার পর স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় আমতলী হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।
আহত মালেক হাওলাদার বলেন, ছলেমান সন্ত্রাসী লোক। আমার মুগডাল চাষ করা জমি দখল করে আইল বানায়। আমি বাঁধা দিলে আমাকে মাইর্যা ফুলা জখম কইর্যা রক্ত বাইর করে। মোর বঊ মোরে বাঁচাইতে আইলে হ্যারেও ব্যামালা মারে। আমি এইয়ার বিচার চাই।
স্ত্রী জয়গুন বেগম বলেন, আমার স্বামীরে ছলেমান পিডাইয়া মাইর্যা হালাইতে চাইছিল। আমি হ্যারে বাচাইতে গেলে আমারেও মারে। গ্রাম্যা মানুষ জাইয়া মোর স্বামীরে বাঁচায়। আমি এইয়ার বিচার চাই।
অভিযুক্ত ছলেমান হাওলাদার মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, মোর জমি দখল কইর্যা চাচায় ডাইল হালাইছে। মুই হেইয়া দখলে লইতে আইল বানাইছি।
আমতলী হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক কাঙ্খিতা মন্ডল তৃনা বলেন, বৃদ্ধ মালেক হাওলাদারের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
You cannot copy content of this page