সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার সারিঘাট-গোয়াইনঘাট সড়কের দুটি পয়েন্টে ও গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং সড়কের শিমুলতলা পয়েন্ট বন্যায় প্লাবিত রয়েছে এবং হাওরাঞ্চলের বাড়িঘরের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলো হচ্ছে সদর ইউনিয়ন, রুস্তমপুর, লেংঙ্গুড়া, ডৌবাড়ী, নন্দীরগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়ন, পশ্চিম জাফলং ও মধ্য জাফলং ইউনিয়ন।
জানা গেছে, আকস্মিক বন্যাজনিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও ভলান্টিয়াররা নিয়োজিত রয়েছেন।
এদিকে বুধবার দুপুর ১২টার রিডিং অনুযায়ী গোয়াইনঘাট ব্রীজ পয়েন্টে পানির লেভেল ১০.১১ মিটার (বন্যাসীমা: ১০:৮২) এবং সারিঘাট পয়েন্টে পানির লেভেল ১২.৮৮ (বিপদ সীমা: ১২.৩৫)। যা বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩দিন উজানে ভারী বৃষ্টিপাত এর সম্ভাবনা থাকায় এবার বন্যার মাত্রা প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গোয়াইনঘাটে আকস্মিক বন্যায় হাওর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলামন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেলের অফিসারদের নিয়ে বন্যা দুর্গত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে মনিটরিং সেলের অফিসারদের মধ্যে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি, সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু কাওছার ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জামাল খাঁনসহ জনপ্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিধায় বাড়িঘরে পানি ঢুকার সাথে সাথে সময় নষ্ট না করে সাথে সাথেই যেনো সবাই নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে যায় সে লক্ষ্যে মানুষকে সচেতন হতে আহ্বান করা হচ্ছে। যে সকল এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবিত হতে পারে সে সকল এলাকার ঘরবাড়ি, বাজার ও দোকান সমূহ থেকে জানমাল নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে।
তিনি জানান, উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নে মোট ৫৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও প্লাবণ প্রবণ এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রে জনগণকে দ্রুত অবস্থান নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
You cannot copy content of this page