সর্বশেষ
সর্বশেষ
শরীয়তপুরের মাঝিকান্দি ঘাটে পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন প্রতিনিয়ত বাড়ছে পানি। ঢাকা ১৯ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রাশেদুল আহসান রাশেদ এর শুভ জন্মদিন পালন অসুস্থ শ্রমিক দল নেতার পাশে দাঁড়ালেন সাভার পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মোঃ খোরশেদ আলম **দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলা, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শত শত পরিবার** মাদারীপুরের শিবচরে নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার করলেন সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাবলু গোয়াইনঘাটে যৌথবাহিনীর অভিযান নৌপথে চাঁদাবাজির দ্বায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৬ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার, ভুক্তভোগী নারীর থানায় জিডি সামাজিক সেবায় নিবেদিত সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু এবার মাদারীপুর-১ আসনে এমপি পদপ্রার্থী কালকিনিতে অবসরপ্রাপ্ত এলজিডি অফিস সহকারীর অস্বাভাবিক মৃত সাভার দক্ষিণ রাজাশন ঘাস মহলে বিএনপির অফিস উদ্বোধন

নরসিংদীতে জমি অধিগ্রহণের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে মানববন্ধন, মহাসড়ক অবরোধ

সকালের বাংলাদেশ অনলাইন ডেক্স / ৫৫ বার শেয়ার হয়েছে
প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন
IMG 20240531 161933

print news

নরসিংদীতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৪ লেনে উন্নীত করণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে জমির মূল্য পুনঃ নির্ধারণসহ অফিসে হয়রানি বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা। পরে তারা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কের রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ নীলকুঠি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। পরে তাঁরা অধিকার আদায়ে ১৫ মিনিট ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় তা সরিয়ে নেয়া হয়।

এ সময় ভুক্তভোগী ৮৬ জন জমির মালিক উপস্থিত ছিলেন। ওমর ফারুক, মজিবুর জাহারী, মুছলেহ উদ্দীন হাজারী, দেলোয়ার ভুইয়া, মেশারফ হোসেন ভূইয়া, হানিফ মিয়া বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করণ প্রকল্প সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ওই জমির বর্তমান দরের চেয়ে অনেক কম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে জমির মালিকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বর্তমান দর বেশি হওয়ায় অধিগ্রহণের টাকা দিয়ে অন্যত্র জমি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জমি হারিয়ে অনেককে ভূমিহীন হতে হবে। জমির মূল্য পূণ:নির্ধারণ করাসহ অফিসে ঘোষ বা দালালের দৌরাত্ম্য ছাড়া জমির ন্যায্য মূল্য চায় তাঁরা। একমাস আগে জেলাপ্রশাসকের নিকট তাঁরা লিখিত অভিযোগের পরও কোনো সুরাহা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে তাঁরা দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জমি মালিক আব্দুল হান্নান (৫৫) বলেন, ‘ সড়কের পাশে আমার ২২ শতক জমিতে পুকুর রয়েছে। ওই জমি অধিগ্রহণ করেছে। পুকুরে বছরে ২০-৩০ লাখ টাকা মৎস্য উৎপাদন হয়ে থাকে। মাছ চাষ করতে গিয়ে ব্যাংক ঋণে জর্জরিত। অথচ আর্থিক ক্ষতিপূরণ পায়নি। প্রতি শতক ৭১ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছে। যা বর্তমানে প্রতি শতকের দাম রয়েছে ৮-১০ লাখ টাকা। ক্ষতি পূরণ চাই।’

মুছলেহ উদ্দীন হাজারী(৬৫) বলেন, ‘ মাহমুদাবাদ মৌজায় আমার নাল ও ভিটি মিলিয়ে প্রায় ৭০ শতক জমি অধিগ্রহণ করেছে। অথচ এখানে বর্তমানে প্রতি শতক ভিটি জমি বর্তমান বাজার মূল্যে ২০-২৫ লাখ টাকা ও নাল ৮-১০ লাখ টাকা দর রয়েছে। যা ২ লাখ ২৪ হাজার ও নাল জমির দর নির্ধারণ করেছে প্রতি শতক ৪৪ হাজার টাকা ধরা হয়েছে।

মির্জাপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ সভাপতি তাজুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘কুকুর মারা মৌজায় ভিটি ও নাল ৭১ হাজার টাকা শতক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ বর্তমান বাজার মূল্য আছে প্রতি শতাংশে ১০-১৫ লাখ টাকা। যারা অধিগ্রহণের দায়িত্বে আছেন তাদেরকে খুশি করতে না পারলে মিলছে না ন্যায্য মূল্য। আমাদের এলাকার জমির দলিল দেখে আমাদেরকে ন্যায্য মূল্য দেওয়া হোক। যেই নাল জমি রেজিষ্ট্রেশন করতে প্রতি শতকে ৪ লাখ টাকা দিতে হয়। সেই জমির ক্ষতিপূরণ কিভাবে ৪৪ হাজার আর ৭০ হাজারনটাকা শতাংশ ধরা হয়?

জমির মালিক ও মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন, কুকুরমারা ও মাহমুদাবাদ মৌজায় মোট ৮৬ জন জমি মালিকের জমি অধিগ্রহণ করে। যার অর্থ এখনো বেশির ভাগ পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ। ৪৫ বছর আগের রেকর্ডে লেখা নাল এখন আর নাল নেই। কিন্তু মূল্য অধিগ্রহণের সময় পুরনো রেকর্ডের নাল দেখে শতাংশ প্রতি ক্ষতিপূরণ ধরা হয়েছে ৪৪ হাজার টাকা। অথচ ভৈরবের নিকটবর্তী এসব এলাকায় রোডের পাশে নালা চিহ্নিত জমির বর্তমান মূল্য তার ১০-১৫ গুন বেশি। নরসিংদীর এক শ্রেণীর অসাধুরা আমার পাশের জমির সাথের জমিতে একটি ছাপড়া তৈরি করে সেই জমিকে ভিটা দেখিয়ে বাড়িনসহ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। আর আমার জমি নালা হয় কিভাবে? তিনি আরও বলেন- প্রতিটি জমির মালিককে ১০ শতাংশ ঘুষ দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে হয়। টাকার বিনিময়ে নাল হয়ে যায় ভিটা আর টাকা না দিলে বসতি জমি হয়ে যায় নাল। এখানে সার্ভেয়ার ও ইঞ্জিনিয়াররা কেটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কর্তাদের ম্যানেজ করে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকরা ন্যায্য মূল্য পেলেও সম পরিমাণ টাকা মধ্যস্থতাকারীরা হাতিয়ে নিচ্ছে। এলাকায় কিছু দালালের মাধ্যমে তারা টাকার বিনিময়ে জমির মূল্য বাড়িয়ে দিবে বলে প্রস্তাব দেয়। তাদের পৃরস্তাবেনরাজি না হলেই জমির মালিকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

মজিবুর রহমান বলেন- ৪ লাখ টাকা শতক জমি কিনেছি কয়েক বছর আগে।আমার কাছে তার দলিলও আছে। কিন্তু এখন তা নাল হিসেবে ৪৪ হাজর টাকা শতক ধরা হয়েছে । এই টাকায় আমরা এলাকায় কোথায়ও কোনো জমি কিনতে পারব না।

ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেন ভূইয়া এবং দেলোয়ার ভুইয়া বলেন- আমাদের ১০০ বছরের পুরনো বাড়ির শুধুমাত্র ঘর বাদে বাকি অংশ নাল লেখা হয়েছে। যা অমানবিক। নীলকুঠি বাসস্ট্যান্ডে যেখানে ২০ লাখ টাকা শতক জমি পাওয়া যায় না সেখানে আমাদের বাড়ির গর্তকে ডুবা দেখিয়ে মাত্র ১১ হাজর টাকা শতক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরানএর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। টাকর বিনিময়েনধান ক্ষেত ভিটি হলেও বাড়ির জমি নাল দেখানোর অসংখ্য প্রমাণ আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর পড়ুন...
নিজ এলাকার খবর দেখুন...

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page