এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বৃহস্পতিবার তার রিমান্ড করেন।
এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে ধানমন্ডি থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন-গ্রেফতার আসামি সাইদুল করিম মিন্টুকে (৬০) পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে সোপর্দপূর্বক এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করিতেছি যে, মামলার তদন্তে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত গ্রেফতার ও আদালতে সোপর্দকৃত বহুল আলোচিত এমপি আনার অপহরণ মামলার অন্যতম আসামী শিমুল ভুইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দিতে আসামি সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা বর্ণিত আছে। জবানবন্দিতে ভিকটিমকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ তথা হত্যা সংশ্লিষ্টতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্তে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এই সংক্রান্তে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে থাকা আসামি কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু এমপি আনার অপহরণ সংক্রান্তে সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথা দিয়েছেন।
ঘাতক শিমুল ভূইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন যে, চলতি বছরের ৫/৬ মে এমপি আনারকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহিন আসামী সাইদুল করিম মিন্টুর সঙ্গে হোয়াটসআ্যাপে কথা বলেন এবং এমপি আনার হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাপেক্ষে আর্থিক লেনদেনের কথা বলে।
পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদরত গ্যাস বাবু আরো জানায় যে, হত্যাকাণ্ডের পরে ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে সে প্রতিশ্রুত টাকা লেনদেনের বিষয়ে ডিজিটালি এবং ফিজিক্যালি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের প্রমাণস্বরূপ ছবি আদান প্রদান করেছেন
You cannot copy content of this page