সর্বশেষ
সর্বশেষ
সামাজিক সেবায় নিবেদিত সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু এবার মাদারীপুর-১ আসনে এমপি পদপ্রার্থী কালকিনিতে অবসরপ্রাপ্ত এলজিডি অফিস সহকারীর অস্বাভাবিক মৃত সাভার দক্ষিণ রাজাশন ঘাস মহলে বিএনপির অফিস উদ্বোধন শরীয়তপুর-১ আসনে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজে কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও কর্মবিরতির ঘোষণা আমতলীতে ইউপির প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল আমতলীতে কাঁচা সড়ক পাকা করার দাবীতে মানবন্ধন কর্মসূচী পালন বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার, আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিলেন কলেজ শিক্ষার্থী আশুলিয়ায় ভূমিদস্যু এম এ মতিন কে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন তালতলীতে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার, শহিদুল হকের প্রতিবাদ

ইসলামপুরে যমুনার চরাঞ্চলে ভয়াবহ নদীর ভাঙ্গন

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি / ৮৮ বার শেয়ার হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন
sokalerbd image 1

print news

প্জারতিমালপুরে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা শুরু হয়েছে। এতে বন্যার পানিতে ডুবে গেছে অসংখ্য ফসলি জমি এবং আকস্মিক নদীভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে শতশত বসতভিটা।

জানাগেছে, উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও গত এক সপ্তাহের ভারি বর্ষণে যমুনার পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে ডুবে যাচ্ছে যমুনার বিভিন্ন চরাঞ্চলের অসংখ্য ফসলি জমি। সেই সাথে যমুনার একটি শাখা নদীর তীব্র ভাঙ্গনে আবারো যমুনা গর্ভে বিলীন হচ্ছে জামালপুর জেলার ইসলামপুুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি, শিশুয়া, চরশিশুয়া, কাশারীডোবা, মন্ডলপাড়া, আকন্দপাড়া ও চেঙ্গানিয়া গ্রাম সমহের দুই শতাধিক বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের শতশত একর ফসলি জমি।

উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নে যমুনার একটি শাখা নদীর দুই তীরেই নদী ভাঙ্গন চলছে। এই আকস্মিক ভাঙ্গনের মুখে বসতভিটা অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছেন কাশারীডোবা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী,বাদশা আলম,লাল মিয়া, কাইজার আলী,জোনাব আলী,ডাবু বেপারী,সাদু বেপারী, তারাজল,মোজাম্মেল,হযরত আলী,আনোয়ার মন্ডল,নুর মোহাম্মদ,ফইজদ্দীন,নুরল ইসলাম গসাল,শিরিন মন্ডল ও সোজাম্মেল সেকসহ অন্তত: ৫০টি পরিবার। একই নদী ভাঙ্গনে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের তোতা মন্ডল,জবা মন্ডল,বিদ্যুত মন্ডল,নয়া মন্ডল ও নাসির মন্ডল।

কাশারীডোবা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম জানান,এবছরের বন্যায় আমারা চারটি পরিবারের মানুষ নদীগর্ভে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে মহা বিপাকে পড়েছি। নিজেদের জমি সবই নদী গিলে খাইছে।আর কোথায় নিজস্ব জমি নেই।কেউ বাড়ী করার জায়গাও দেয়না। এখন কোথায় যাবো,কি করবে,এ নিয়ে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি।

এব্যাপারে কাশারীডোবা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী জানান,যমুনা চরাঞ্চলে ভরা ফসলি মৌসুমে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়েছে। এতে আমার দুইবিঘা জমির হাইবিট মরিচ ক্ষেত,এক বিঘা জমির কলা বাগান ও পাঁচ বিঘা জমির রোপা আমন ক্ষেত প্রতিদিনের অব্যাহত ভাঙ্গনে ক্রমেই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।যমুনায় অসময়ের এই ভয়াবহ বন্যার পানি রোধে কার্যকর ব্যাবস্থা নিতে হবে সরকারকে।

এছাড়াও সাপধরী ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত যমুনার একটি শাখা নদীর তিনটি পয়েন্টে আড়া আড়ি ভাবে বাঁশের পাইলিং করলে সাপধরী ইউনিয়নের কাশারীডোবা,ইন্দুল্লামারী,আকন্দপাড়া,চেঙ্গানিয়া ও মন্ডলপাড়া গ্রাম সমুহের অন্তত: পাঁচহাজার কৃষকের বসতভিটা ও ফসলি জমি নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর পড়ুন...
নিজ এলাকার খবর দেখুন...

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page