বেনাপোল চেকপোস্টে শেরপুর জেলা আ. লীগ নেতা আটক, ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে ভারতে প্রবেশের সময় তাকে আটক করা হয়।
আটক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি। তিনি শেরপুর জেলা সদরের পুরাতন গোহাটি গ্রামের দ্বিজেন্দ্র চন্দ্রের ছেলে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, ‘আমাদের কাছে গোপন খবর ছিল, শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের এ নেতা এ পথ দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবেন। এ তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গোপনে ওৎ পেতে থাকেন। পরে তার পাসপোর্টে এক্সিট সিলের জন্য ইমিগ্রেশনে গেলে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও জেলা আইনজীবী এপিপি ছিলেন বলে স্বীকার করেন।
পরে তাকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাসেল মিয়া বলেন, আটকের পর তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে।
শেরপুর পুলিশের বিভিন্ন সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে চন্দন পালের বিরুদ্ধে অন্তত চারটি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর চন্দন পাল আত্মগোপনে চলে যান। তারপর থেকে তাকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি।
শেরপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে শেরপুরে আনার জন্য জেলা পুলিশের একটি টিম যশোরের পথে রওয়ানা হয়েছে।
You cannot copy content of this page