সাভার পৌরসভা এলাকার ব্যাংক কলোনিতে সাবেক সাংসদ ডা. দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবুর বাড়ির সামনে ১৯ মে ( সোমবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহীন (২৬) নামে এক পরিবহন রং মিস্ত্রিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা ঘটনা স্থলেই মারা যান রং মিস্ত্রি শাহীন। ঘটনার পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গুলির শব্দে আতঙ্কিত হয়ে জনবহুল এলাকার লোকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন তারা। হত্যার খবর পেয়ে ছুটে এসে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন সাভার মডেল থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা। তবে কারা কি উদ্দেশ্যে জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থলে থাকা র্যাবের একজন সদস্য জানান, খুব কাছ থেকে ওই যুবককে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
গুলিতে নিহত শাহীন সাভার উপজেলার বনগাঁও ইউনিয়নের বলিয়ারপুরের কোটাপাড়া এলাকার কবির হোসেনের ছেলে। সে ঘটনাস্থলের পাশেই বরুনের মালিকানাধীন কামনা অটোমোবাইল নামক প্রাইভেটকার গ্যারেজে রং মিস্ত্রির কাজ করত। সে এক শিশু পুত্র সন্তানের জনক। শাহীনকে গুলি করে হত্যার খবর শুনে স্ট্রোক করেন গ্যারেজের মালিক বরুন পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টারদিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে শাহীন ও সাদা শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তির সঙ্গে ব্যাংক কলোনির শাখা সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তারা কিছু দূর হেটে গেলে সাদা শার্ট পরিহিত ওই ব্যক্তি শাহীনের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যান। ততক্ষণে শাহীন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ হারান।
গ্যারেজের কর্মচারী আব্দুর রব জানায়, নিহত শাহীন অনেক ভালো লোক ছিল। সে দুই বছর ধরে আমাদের সঙ্গে কাজ করত। তার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল বলে শুনি নাই। সোমবার সারাদিন এবং সন্ধ্যায়ও গ্যারেজে কাজ করেছে।
নিহতের ছোট ভাই মো. আরিফ জানায়, আমার ভাই কারো কোনো ক্ষতি করেনি। তাহলে কেন তাকে হত্যা করা হলো। এখন তার একমাত্র শিশুপুত্র এবং স্ত্রীর কি হবে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজধানী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। হত্যাকারীদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ। দ্রুত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
You cannot copy content of this page