শরীয়তপুরের জাজিরা থানার জয়নগর এলাকায় স্বর্ণালংকার ও ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে রাতের আঁধারে ৪ বছরের পুত্রসন্তান রেখেই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে গৃহবধূ লামিয়া আক্তার। পালানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী কাজল মোল্লা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের জাজিরা থানার জয়নগর এলাকার কাজল মোল্লা(৪০)-এর সঙ্গে মাদারীপুর খোয়াজপুরের লামিয়া আক্তারের সাথে ৮বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী কাজল মোল্লা দেখতে পান বিভিন্ন সময়ে স্বামীর অনউপস্থিতিতে মোবাইলে অনপরিচিত পুরুষের সাথে কথাবার্তা বলে। পরপুরুষের সাথে মোবাইলে বেপরোয়া কথাবার্তার কারণে বেশকয়েকবার স্ত্রী লামিয়াকে শাসিয়েছেনও স্বামী কাজল বেশকয়েকবার পরোকীয়া প্রেমিক রুহুল আমিনের সাথে পালিয়ে গিয়ে ছিলেন গৃহবধূ লামিয়া আক্তার।
পরিবার ও স্বজনরা আরো জানান, ওই দম্পত্তির সংসারে ৪ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। পুত্রসন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে স্ত্রীর এই বেপরোয়া চলাচল মেনেই একপর্যায়ে সংসার করতে থাকেন কাজল মোল্লা। এক মাস আগে ৪বছরের সন্তান ফেলেই পরোকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়ে একসপ্তাহ পরে কাজল মোল্লার কাছে মাফ চেয়ে আবার সংসারে ফিরে আসেন। বাড়িতে এসে মাত্র ৩দিন থেকে গত ১০ জুন রাতের আঁধারে আবার পরোকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যান।এসময় কাজল মোল্লার ঘরে গরু বিক্রির ৪লক্ষ টাকা ও তার বোনের ২ভরি স্বর্ন নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্বামী কাজল মোল্লা।
ভুক্তভোগী কাজল মোল্লা বলেন, আমার স্ত্রী পরকীয়ায় আসক্ত। বিয়ের পর থেকেই সে আমার জীবনটা নিঃশ্বেস করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত ৪ বার পরপুরুষের সাথে পালিয়ে গেলো। আমি আমার ৪বছরের পুত্রসন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার স্ত্রীকে বারবার ক্ষমা করেছি। কিন্তু যেকয়বার ক্ষমা করেছি, সেই কয়বারই আমার স্ত্রী আমার সাথে বেইমানি করেছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ বিষয় গৃহবধূ লামিয়া আক্তার জানান, কাজল মোল্লা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমি কাজল মোল্লাকে ডিভোর্স দিয়েছি, তারপর আমার পাশের গ্রামের রুহুল আমিনকে বিয়ে করেছি। বিয়ের সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। আমার পুত্র সন্তানকে যদি আমার কাছে ফেরত দেয় তাহলে আমি গ্রহন করবো।
You cannot copy content of this page