সর্বশেষ
সর্বশেষ
আমতলীতে স্বপ্ন ছোঁয়া স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলজ বনজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ মনপুরার মেঘনায় যৌথ অভিযানে পাঙ্গাশ মাছের পোনা শিকার করার চাই আটক মাদারীপুরের শিবচরে ছেলের হাতে বাবা খুন মাদারীপুর -১ (শিবচর)  আসনে বিএনপির মনোনীত জামান কামাল মোল্লা ভোলা-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত নুরুল ইসলাম নয়ন সাভারের রাজাশনে বিএনপি সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাদারীপুর আমতলীতে শিক্ষক অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১ সাভার রাজাশন বিএনপির উদ্যোগে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট বিতরণ মনপুরায় ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

আমতলীতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড, সহযোগীর কারাদন্ড

মাইনুল ইসলাম রাজু আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি / ৭৬ বার শেয়ার হয়েছে
প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২৭ অপরাহ্ন
IMG 20250828 014252

4 / 100 SEO Score
print news

 

বরগুনার আমতলীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দুইলাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস ওই রায় ঘোষণা করেন।

ফাঁসির দণ্ডিত আসামি হলো উপজেলার পূঁজাখোলা ইসলামপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম খানের ছেলে হৃদয় খান (২০)।

তার সহযোগী আসামি জাহিদুল ইসলামকে (১৯) পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা আমতলী থানায় সাজাপ্রাপ্ত ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন তার ১২ বছরের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ঘুম থেকে উঠে পাশের বাড়ির ক্ষেতে শাক তুলে ঘরে রেখে আবার বাইরে যায়। দুপুর পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে না আসায় তার বাবা ও মা বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। পরের দিন বাদী আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

বাদীর ছেলে ইমরান তার বাবাকে জানায়, তার ফোনে অজ্ঞাতনামা একজন মেসেজ দিয়ে বলে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে বোনকে ছেড়ে দিবে। বাদী বিষয়টি পুলিশকে জানান।

পুলিশ প্রধান আসামি হৃদয় খানকে ৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন ৫ ফেব্রুয়ারি বাদীর মেয়েকে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে। মুক্তিপণ না পেয়ে আমতলীর জনৈক নূর মোহাম্মাদ খানের বাড়ির সামনে হোগলাপাতার মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে।

ভিকটিম ধর্ষণের কথা বলে দিতে পারে এমন আশংকায় তার হিজাব দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে হৃদয়। আসামি হৃদয় তৎকালিন আমতলীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের কাছে গত ৮ ফেব্রুয়ারি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। হৃদয় খানের কথা মতো পুলিশ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে।

বাদী বলেন, আসামি হৃদয় তার অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না পেয়ে আমার নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের পরে হত্যা করে লাশ গোপন করার জন্য হোগলাপাতার মধ্যে দু’জনে মিলে লুকিয়ে রাখে। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আবদুল ওয়াসি মতিন বলেন, বাদী অভিযোগ করেছেন তার মেয়েকে অপহরণের পরে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে। মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত নেই। এই রায়ের বিরুদ্ধে আমার মক্কেল উচ্চ আদালতে আপিল করবে।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন,  ১২ বছরের একটি ছোট মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ লাশ গোপন করা, এটি একটি জঘন্য অপরাধ। এই রায়ের খবর সবার কাছে পৌঁছলে অপরাধ কমবে।

4 / 100 SEO Score


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর পড়ুন...
নিজ এলাকার খবর দেখুন...