এসএসসি পরীক্ষায় ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে শিবচরে পাঁচ্চর উচ্চ বিদ্যালয়। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি থেকে ১২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২৭ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ ১২ শিক্ষার্থী। এর আগে ২০২০, ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালে ভাল ফলাফল অর্জন করেছিল এ প্রতিষ্ঠান।
পাঁচ্চর উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরই বিদ্যালয়টি শিবচরের উপজেলার মধ্যে একটি ভালো রেজাল্ট করে। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় তার ব্যতিক্রম হয় নাই। এ বছর ১২৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ জিপিএ ফাইভ পেয়েছে ২৭ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে গোল্ডেন জিপিএ ফাইভ ১২ শিক্ষার্থী।
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৩.৯২ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী।
সোহাগী আক্তার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া এক শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে দৈনিক সকালের বাংলাদেশকে বলেন, শিক্ষক ও বাবা-মায়ের পরিশ্রমের কারণেই আমার এ ফলাফল। এ ছাড়া আমি একটি ক্লাসও মিস করিনি। কোনো পরীক্ষা-মডেল টেস্ট বাদ দেইনি। তাই চর্চাটা খুব ভালো হয়েছে। গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
সাদিয়া রহমান শায়ন্তী জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষায় ভালো করার জন্য যা যা সাপোর্ট দরকার তার সবই বাবা তো বেঁচে নেই -মা ও শিক্ষকদের কাছ থেকে পেয়েছি। শিক্ষকরা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছেন। তা ছাড়া আমাদের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকলেই আন্তরিক।
পাঁচ্চর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: শাহ আলম সিরাজী বলেন, একটি বিদ্যালয়ের ভালো ফলের মূলমন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিশোধ। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয়। ইনোভেটিভ চিন্তাচেতনা, সময়োপযোগী সঠিক দিকনির্দেশনায় আমাদের এ ফলাফল অব্যাহত আছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের শিক্ষকরাও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। সকলের পরিশ্রম ও সঠিক তত্ত্বাবধানের মাধ্যমেই এ প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই ভাল ফলাফল অর্জন করে আসছে। তবে বিদ্যালয়টির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাদশা মিয়ার দিকনির্দেশনায় এত ভালো রেজাল্ট হয়েছে।
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ মে) সকাল ১১টায় গণভবনে এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ফলাফলের কপি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।
You cannot copy content of this page